‘দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে, ভিসা নীতির পরোয়া করে না সরকার’

সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ। ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।

সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না। শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসা নীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভিসা নীতির বাস্তবায়নের বাস্তবতা দেখা যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোট দিবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপির নির্বাচন হতে দিবে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে আসা বিএনপির অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।

অক্টোবরে বিএনপির মরণ কামড় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মরণ কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu 2025, a litmus test for the interim government

Ducsu 2025 is much more than a contest for student union posts. It is like a referendum on the future of student politics in Bangladesh

35m ago