গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গেলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও হামলার অভিযোগ তুলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

দলটির দাবি, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় 'একতরফা ভোট বর্জন করুন' আহ্বানে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় ও হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

দলটি আরও দাবি করেছে, সমাবেশস্থলে আসার পথেও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির মিছিলে পুলিশ কয়েক দফায় বাধা দিয়েছে এবং তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চ প্রতিবাদী কর্মসূচি হিসেবে আজ মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি পালন করেছে।

এ উপলক্ষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'আওয়ামী লীগ বলছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে উৎসব করে ভোট দিতে যায়। তারা সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।'

তারা আরও বলেন, 'সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছ। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিতে চায়।'

তারা বলেন, 'সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে লক্ষ-কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নেই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরও বিপদে পরবে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার।'

অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, 'অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Protesters set Nepal parliament on fire

Hundreds have breached the parliament area and torched the main building, a spokesman for the Parliament Secretariat says

42m ago