নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ কাজে আসছে না: জি এম কাদের

জি এম কাদের
রংপুরে পল্লীনিবাসে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের নিয়ে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা কাজে আসছে না।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুরে পল্লীনিবাসে জাতীয় পার্টির ১১ নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে নিয়ে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সারা দেশে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে এবং সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা কাজে আসছে না।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের ভেতরে অদৃশ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। সাধারণ মানুষের আয় যেমন কমছে, জিনিসপত্রের দাম কমছে না। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ক্ষোভ বাড়ছে। এটা আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় করতে না পারলে সরকারের সামনের দিনগুলো সুখকর হবে না।

সংসদের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম তা স্পিকারকে জানিয়েছি। আবার অনেকে বলেন, প্রথা ছিল না। মানুষ এই রীতি তৈরি করে, যা কোনো আইন নয়। মানুষ এই প্রথাগুলো ভেঙে নতুন রীতিনীতি তৈরি করে। আমি জানি না কেন তিনি অখুশি হয়েছিলেন। যারা বক্তব্যে অসন্তুষ্ট, তারা হয়তো আমার বক্তব্য ভালোভাবে বুঝতে পারেননি।

দল গঠনের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়লাভ করে। ৩৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পরও এবার জাপা পেয়েছে ১১টি আসন। আমার মনে হয় না খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে। যদিও এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ।

এ সময় জাপার সাধারণ সম্পাদক ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

52m ago