খতিয়ে দেখতে হবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না: কাদের

খতিয়ে দেখতে হবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'একটি রাজনৈতিক দল হিসেব যখন তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থতা নিমজ্জিত হয়েছে, তখন তারা অন্যান্য অনেক কিছুতে জড়িয়ে সরকারকে বিব্রত করা এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'

সিন্ডিকেট কারা করে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, 'এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনার সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনস্বার্থকে সমুন্নত রেখে। সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে কিন্তু আমাদের এখন তলিয়ে দেখতে হবে এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।'

কাদের বলেন, 'তারাই (বিএনপি) এসব সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা এবং নির্বাচিত সরকারের আজকে যে অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা চেষ্টা করতে পারে। এটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে, এই যে সিন্ডিকেট, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপির সংযোগ আছে কি না।'

বৈশ্বিক প্রভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'কোন দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে? আমি সিঙ্গাপুরে গেছি আমার চেকআপের জন্য। সেখানে বাজারের যে পরিস্থিতি, দুই গুণ, তিন গুণ, চার গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এমনকি ফলমূলের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে গেছে। তিন মাস আগে যা দেখেছি, এখন তার দ্বিগুণ-তিন গুণ হয়ে গেছে। এই অনিশ্চয়তার বিশ্ব পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।'

আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এখানে সরকার নিষ্ক্রিয় নেই। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ দেশের এ সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন। আমাদের এখানে নিজেদের কোনো অবহেলা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার যেসব কৌশল, এগুলো কিন্তু সরকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করছে।'

গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এই সংকটের মধ্যেও নির্বাচনে তারা আসেনি, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে; নির্বাচন যখন হয়েই যাচ্ছে, তখন তারা (বিএনপি) বলেছিল বাংলাদেশে নির্বাচনের পর মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ হবে, কোথায় দুর্ভিক্ষ? আমাদের পারচেজিং পাওয়ার আছে। আপনি এখনই দেখেন, আলোকসজ্জা শুরু হয়ে গেছে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। ঈদ শপিং শুরু হয়ে গেছে। হাতে তো পয়সা আছে। একটা লোক না খেয়ে মারা গেছে? উদাহরণ দিতে পারবেন?'

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago