উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনপ্রীতিতে ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্ব

আওয়ামী লীগের লোগো

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘনিষ্ঠজনদের নাম ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (এমপি)। সেই কারণে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে দলটির হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন।

বৈঠকে দলের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ে দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।

৮ মে থেকে চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়ার এবং নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তবে ইতোমধ্যে এক ডজনের বেশি মন্ত্রী-এমপি নিজ নিজ উপজেলায় 'দলীয় প্রার্থী'র নাম ঘোষণা করেছেন। তাদের কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র নাম 'দলীয় প্রার্থী' হিসেবে ঘোষণা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে।

নির্বাচনে দলীয় নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিতে চাইলেও প্রার্থী সংখ্যা সীমিত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। কারণ দলের হাইকমান্ড মনে করছে, বেশি প্রার্থী দিলে তৃণমূল পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়তে পারে।

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার জন্যও সতর্ক করেছে দলটি।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা কমাতে কিংবা ঐক্যমতের মাধ্যমে প্রতি উপজেলায় একজন করে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা দলের জেলা ও উপজেলায় ইউনিটকে দেওয়া হতে পারে।

তারা আরও জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আলোচনা করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে জেলা ও উপজেলা ইউনিটকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দায়িত্বশীলদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যদি কোনো সংসদ সদস্য তার ছেলে বা স্ত্রী কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন, তাহলে এটা দুঃখজনক।

দলীয় নেতাদের মধ্যে প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমাতে জেলা আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে।

'আওয়ামী লীগের জেলা ইউনিটগুলো দলের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে নিজ নিজ জেলার উপজেলায় একক প্রার্থী বাছাই করতে পারে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago