দেশের ভেতরের-বাইরের অপশক্তি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির চেষ্টা করছে: তারেক রহমান

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ভেতরের ও বাইরের অপশক্তি বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত আছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সবাই যদি সর্তক থাকি তাহলে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।'

আজ সোমবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, 'সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে, এই প্রশ্ন তুলে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।'

'বিএনপি মনে করে সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার বিষয় নয়। একজন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করলে আরেকজন প্রয়োজনীয় সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যায়। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'তবে সরকার কিংবা সরকারের বাইরে আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুঁথিগত সংস্কার অনেকটা অকার্যকর।'

'সংস্কার কার্যক্রমকে কার্যকর করতে চাইলে সবার আগে জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘবের ব্যবস্থা করা দরকার। জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে সংস্কার কার্যক্রমের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না,' যোগ করেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, 'বিতাড়িত স্বৈরাচারের পলায়নের পর গণতন্ত্রকামী জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের এক বিশাল দায়িত্ব নিয়ে আজ অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তি ও সাংবাদিক সমাজকে সতর্ক থাকা দরকার। আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে চলমান যাত্রা, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করতে কিন্তু এর ভেতরে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।'

'বিতাড়িত স্বৈরাচার ও তাদের দোসরচক্র নানা কৌশলে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টা শুরু করেছে। অপশক্তি দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। তবে সবাই যদি আমরা সর্তক থাকি বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে তাদের একদিকে আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন। অপরদিকে তাদের অবশ্যই জনগণের রাজনৈতিক বিচারের প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরিস্থিতিতে ফেলতে হবে। যদি এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারি আমরা, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি  গণবিরোধী বিতাড়িত অপশক্তি বাংলাদেশে রাজনীতিতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না।'

'ভোটের অধিকারের সুযোগ পেলে জনগণ তাদের রাজনীতির ক্ষমতা প্রয়োগ করে গণহত্যাকারী খুনি, লুটেরা, পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদেরকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় করে দিতে সক্ষম হবে। বিএনপি মনে করে সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান অবশ্যই প্রয়োজন,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nepal PM Oli quits as anti-corruption protests spiral

The Himalayan country has struggled with political instability and economic uncertainty since protests led to the abolition of its monarchy in 2008.

1h ago