খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ: দলের ‘নীরবতায়’ পদত্যাগ করলেন এনসিপি নেতা অলিক মৃ

খাগড়াছড়িতে স্কুলশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সহিংসতা ও তিন জন নিহতের ঘটনায় দলের নীরব থাকার অভিযোগ এনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির নেতা অলিক মৃ।

গারো সম্প্রদায়ের তরুণ অলিক মৃ আজ সোমবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, তিনি এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, 'খাগড়াছড়িতে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণ, আদিবাসীদের ওপর হামলা, তাদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং তিন জন আদিবাসীকে হত্যার ঘটনায় এনসিপির নীরবতা ও ধর্ষণ নিয়ে এনসিপির নেতা হান্নান মাসউদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আমি অলিক মৃ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদ থেকে পদত্যাগ করছি।'

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, আমি আমার পদত্যাগপত্র এনসিপির ইমেইল এবং দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়েছি।

দ্য ডেইলি স্টারকে অলিক বলেন, খাগড়াছড়ির বর্ণনা দিতে গিয়ে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ এক অনুষ্ঠানে 'ভুয়া ধর্ষণ' শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটি অত্যন্ত আপত্তিকর।

এর ঘণ্টাখানেক পর দুপুর ২টা ৭ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন হান্নান মাসউদ।

তিনি লেখেন, 'গতকাল দ্বীপ হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নে এক সমাবেশে আমি ভুলবশত ও তাৎক্ষণিকভাবে "ভুয়া ধর্ষণ" শব্দটি ব্যবহার করে ফেলি যা কোনোভাবেই আমার ইন্টেনশন ছিল না। ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি ব্যবহার করায় আমি বিব্রত ও দুঃখিত। আশা করি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকরা এটাকে আমার মুহূর্তের ভুল হিসেবেই বিবেচনা করবেন।'

তিনি পাহাড় ও সমতলের বাংলাদেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান পরাজিত ও ফ্যাসিবাদী শক্তির সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ঐকবদ্ধ থাকতে এবং আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।