জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার

যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দল এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে দলগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈঠক শেষে একাধিক সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যরা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার।'

একই কথা জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, 'আমরা সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। এটাও চাচ্ছি যে, স্বাক্ষরের বিষয়টি শেষ হয়ে যাক। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জুলাই যোদ্ধাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।'

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ওই বৈঠকে উপস্থিত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খোলা আকাশের নিচে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।

দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাই সনদ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মতৈক্যে পৌঁছানো 'অসম্ভবকে সম্ভব করা' বলে গতকাল বুধবার মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের স্বাক্ষরিত চিঠিতে মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে যায় চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদ।

এর ভেতর গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট আয়োজনের দাবিসহ অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

দলগুলোর অন্য অভিন্ন দাবিগুলো হলো—অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

Comments

The Daily Star  | English

Tribunal sends 15 army officers to jail

Chief prosecutor says government and jail authorities will decide where to house the accused

3h ago