লোকে লোকারণ্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং সংসদ ভবনের সামনের মাঠে।
খামারবাড়ি, ফার্মগেট, আসাদগেট, মিরপুর রোড এবং বিজয় সরণিসহ আশেপাশের এলাকায়ও বহু মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
আজ বুধবার বাদ জোহর দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার জানাজা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে দেখা যায়, জানাজায় যোগ দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে মানুষের ঢল নেমেছে। অনেকেই পায়ে হেঁটে জানাজাস্থলে যাচ্ছেন।
মাইকে ঘোষণা করা হয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশেপাশের এলাকায় এরইমধ্যে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন। জানাজায় অংশ নিতে আসা লোকেদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিতে বলা হয়।
এক্সপ্রেসওয়েতে বহু মানুষ আসছেন। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ লোকজন ফার্মগেট, বিজয় সরণি এবং আগারগাঁও মেট্রো রেলে করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আসছেন। কারওয়ান বাজার থেকে অনেকেই হেঁটে জানাজাস্থলে আসছেন।
মাথায় ব্যান্ড পরে এবং হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে মেট্রো রেলে উত্তরা থেকে ফার্মগেট এসে নামা ৪৮ বছর বয়সী আসাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি দলের সঙ্গে জড়িত। অনেক স্মৃতি আছে। আমি দলের সঙ্গেই রয়েছি।
তিনি বলেন, 'আজ, ম্যাডাম আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। সেই কারণেই আমি তার জানাজায় যোগ দিতে যাচ্ছি। সর্বশক্তিমান তাকে জান্নাত দান করুন।'
খামারবাড়ির সামনে, ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা ১৭ জন ভোরবেলা রাজশাহী থেকে এখানে এসে পৌঁছেছি। আমরা আমাদের নেত্রীর জন্য শেষবারের মতো কাছ থেকে দোয়া করার আশায় অপেক্ষা করছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দেন।
জানাজায় যোগ দিতে আসা ফেনীর বিএনপি কর্মী কামাল হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে আমি সকাল ৭টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আসি। এখন দুপুর হয়ে গেছে। এই জানাজায় অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। আমি আরও ৩০ জনকে নিয়ে এখানে এসেছি।
নরসিংদীর যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি গত রাতে ঢাকায় ছুটে এসেছি। আমি ভোর থেকেই এখানে আছি এবং দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। ম্যাডাম ছিলেন আমাদের পথপ্রদর্শক, আমাদের অনুপ্রেরণা।

Comments