গাজার যুদ্ধ মানবসভ্যতার জন্য লজ্জার: চীন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে 'মানবসভ্যতার জন্য লজ্জাজনক' হিসেবে অভিহিত করেন এবং 'শিগগির যুদ্ধবিরতির' দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি মানবজাতির জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং সভ্যতার জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয় যে ২১ শতকে এসেও এ ধরনের একটি মানবিক বিপর্যয়কে থামানো যাচ্ছে না।'

গত বছরের অক্টোবরে থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই চীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এসেছে।

ঐতিহাসিকভাবে চীন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতিশীল। দেশটি এ অঞ্চলের সংঘাত নিরসনে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামে দুইটি পৃথক, সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের (টু স্টেট থিওরি) মতবাদের প্রতি সমর্থন জানায়। 

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: রয়টার্স
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি 'আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন' আয়োজনের মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

ওয়াং বলেন, 'এই সংঘাত অব্যাহত রাখার পেছনে কোনো যুক্তি নেই এবং এই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের পক্ষেও কোনো গ্রহণযোগ্য অজুহাত নেই।'

'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শিগগির উদ্যোগ নিতে হবে। তাৎক্ষনিক যুদ্ধবিরতি ও সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগকে অন্য সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে এবং (গাজায়) মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিত করাকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে হবে', যোগ করেন তিনি। 

বেইজিং এর শীর্ষ কূটনীতিক আরও জানান, চীন চায় ফিলিস্তিন জাতিসংঘের 'স্থায়ী' সদস্যপদ পাক।

দক্ষিণ গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি: রয়টার্স

ওয়াং বলেন, 'আমরা ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ গ্রহণের প্রতি সমর্থন জানাই।'

তিনি বলেন, 'গাজার বিপর্যয় আবারও বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দীর্ঘ সময় ধরে দখল করে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়টিকে আর অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়।'

'ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র দেশ গঠনের ইচ্ছাকে আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ ঐতিহাসিকভাবে যে অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তা সংশোধন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago