৩ কেজি ওজনের কুনো ব্যাঙের খোঁজ পাওয়া গেল অস্ট্রেলিয়ায়

কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স
কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার পার্ক রেঞ্জাররা (বনরক্ষী) দেশটির গভীর অরণ্যে বিশাল আকারের একটি কুনো ব্যাঙের খোঁজ পেয়েছেন, যেটি ওজনের দিক দিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। 

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

হলিউডের অতিকায় দানব 'গডজিলার' নাম অনুযায়ী এই ব্যাঙের নাম রাখা হয়েছে 'টোডজিলা'। এটি কুনো ব্যাঙের 'কেইন টোড' প্রজাতির প্রতিনিধি। আক্রমণাত্মক প্রাণী কেইন টোড অস্ট্রেলিয়ার বাস্তুতন্ত্রের ওপর হুমকি সৃষ্টি করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান।

কাইলি এবং তার সহকর্মীরা একে আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তারা টোডজিলার ওজন মেপে ২ কেজি ৭০০ গ্রাম বা ৬ পাউন্ড পান।

কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স
কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কুনো ব্যাঙের ওজন হিসাব করা হয়েছে ২ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা ৫ দশমিক ৮ পাউন্ড। ১৯৯১ সালে সুইডেনের একটি পোষা ব্যাঙ এই রেকর্ড সৃষ্টি করে।

কাইলি গ্রে এবিসি নিউজকে আজ শুক্রবার জানান, 'আমরা কনওয়ে পার্কের নামে ব্যাঙটির নাম কনি রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সবাই টোডজিলা নামটিই বেশি পছন্দ করে, তাই আমরা এটাই রেখেছি'।

কাইলি'র সহকর্মী ও জ্যেষ্ঠ পার্ক রেঞ্জার ব্যারি নোলান রয়টার্সকে জানান, 'বাস্তুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব' ঠেকাতে টোডজিলাকে ব্যাথাহীন মৃত্যু দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এই প্রজাতির কুনো ব্যাঙগুলোর কপালে সাধারণত এ ভাগ্যই লেখা থাকে।

কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স
কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের কনওয়ে জাতীয় পার্কে ১২ জানুয়ারি টহল দেওয়ার সময় পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে হটাত করেই টোডজিলাকে খুঁজে পান। ছবি: রয়টার্স

তিনি ব্যাখ্যা দেন, 'টোডজিলার মতো একটি নারী ব্যাঙ একবারে ৩৫ হাজারেরও বেশি ডিম পাড়তে পারে। তাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা অসামান্য। কেইন টোডের জীবনচক্রের সবগুলো ধাপই অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য স্থানীয় প্রাণীর জন্য বিষাক্ত। এ কারণে তাদের বিস্তার রোধের মাধ্যমেই আমরা এই ক্ষতিকর প্রাণীকে নিয়ন্ত্রণে রাখি'।

টোডজিলার মরদেহ কুইন্সল্যান্ডের যাদুঘরকে দান করে দেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago