‘ক্রিমিয়ায় আক্রমণ হলে তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে’

আকাশে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা হচ্ছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
আকাশে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা হচ্ছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি৭ এর সম্মেলন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে এফ-১৬ এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠাতে পারবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ জানান, এ উদ্যোগে চলমান সংঘাতে ন্যাটোর সংযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আজ সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে রুশ দূতাবাসের চ্যানেলে আজ আন্তোনভের মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, 'ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যক্রম পরিচালনার অবকাঠামো নেই। সেখানে যথেষ্ট সংখ্যক বৈমানিক ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও নেই।'

'যদি এমন হয়, বিদেশি "স্বেচ্ছাসেবক" চালিত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো ন্যাটোর বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে আসে?', যোগ করেন তিনি।

বেশ কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মিত্রদের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছেন। এ ধরনের উদ্যোগে মস্কো যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াতে পারে—এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও জেলেনস্কি হাল ছাড়েননি।

এ লক্ষ্যে জাপানে জি৭ সম্মেলন শুরুর আগে জেলেনস্কি বড় আকারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ঘোষণা দেন যে, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সহায়তা দেওয়ার জন্য 'আন্তর্জাতিক মৈত্রী' গঠনে একমত হয়েছেন।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনীয় পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণে সম্মতি দেন। জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেন যে, এই যুদ্ধবিমানগুলোকে রুশ ভূখণ্ডে পাঠানো হবে না।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো পশ্চিমের দেশগুলোকে সতর্ক করেন, তারা যদি এফ-১৬ সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যান, তাহলে এতে 'বড় আকারের ঝুঁকি' সৃষ্টি হবে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, খুব শিগগির ইউক্রেন রাশিয়ার অধীকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড মুক্ত করার জন্য প্রতি-আক্রমণ শুরু করবে। 

আন্তোনভ জানান, ২০১৪ সালে দখলে নেওয়া ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের যেকোনো হামলাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

'রুশদের প্রত্যুত্তরের বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোপুরি অবগত থাকা উচিত', যোগ করেন আন্তোনভ।

এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

আকাশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে রুশ বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা এনে দিতে পারে। তবে তা তখনই সম্ভব, যখন এর সঙ্গে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ও টার্গেটিং তথ্য যুক্ত করা হবে, যা পশ্চিমের মিত্রদেরকেই দিতে হবে। এসব সুবিধা যোগ করা হলে ইউক্রেনের মিত্ররা আরও সক্রিয়ভাবে চলমান সংঘাতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

Bangladesh Bank withdraws its dress code for officials amid criticism

Bangladesh Bank retracts dress code following governor's directive

2h ago