যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন

বাইডেনের আশঙ্কা ঝুঁকিতে গণতন্ত্র, ট্রাম্পের লক্ষ্য হোয়াইট হাউস

বাইডেন ও ট্রাম্প
জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রে ৪ বছর মেয়াদি প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ২ বছরের মাথায় মধ্যবর্তী নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ২ দলে উদ্বেগ ভিন্ন মাত্রায়। এখন পর্যন্ত অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিরোধী রিপাবলিকানরা।

এই নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৫টি ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবকটিতেই ভোট হবে।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে রিপাবলিকানদের প্রয়োজন এক আসন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের প্রয়োজন ৬ আসন। সেই হিসাবে 'চরম চাপে' ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আশঙ্কা নির্বাচনে প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষ না হলেও এক কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে।

তিনি মনে করেন, রিপাবলিকানরা বিজয়ী হলে দেশটির গণতন্ত্র হুমকিতে পড়বে। অন্যদিকে, রিপাবলিকানদের বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়।

আজ মঙ্গলবার মধ্যবর্তী নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত দেশটির জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন বাইডেন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

গতকাল মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, 'আজ আমরা এক চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছি। আমাদের গণতন্ত্র ঝুঁকিতে। আপনাদেরকে এটি রক্ষা করতে হবে।'

ওহিও অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ফ্লোরিডা থেকে তিনি একটি ঘোষণা দেবেন বলেও সমর্থকদের জানিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, 'আগামী ১৫ নভেম্বর পাম বিচ থেকে বড় একটি ঘোষণা দেব।'

বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের অভিযোগ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও অপরাধ প্রবলতা বৃদ্ধি। এই ২টি বিষয় নিয়ে ভোটারাও উদ্বিগ্ন।

ডেমোক্রেটরা জোর দিচ্ছেন গর্ভপাতের অধিকার, অবকাঠামো ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর।

নির্দলীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা ২৫টির মতো আসনে জয়ী হতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে প্রতিনিধি পরিষদে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।

এ কথা সত্য, সার্বিক পরিস্থিতিতে অনেক ভোটার বাইডেন প্রশাসনের ওপর বিরক্ত। গতকাল রয়টার্সের জরিপে মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোটার বাইডেনের পক্ষে কথা বলেছেন।

মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা জয়ী হলে বাইডেন প্রশাসনকে ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি কাজে বিরোধিতায় পড়তে হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিপাবলিকানরা বিজয়ী হলে রুশ আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

2h ago