প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে কমলার কাছে নাস্তানাবুদ ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ডেমোক্র্যাটিক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কে প্রচণ্ড চাপে রেখেছিলেন গর্ভপাতের আইন, প্রেসিডেন্ট অফিসের জন্য তার ফিটনেস এবং তার অগণিত আইনি লড়াইয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে। মঙ্গলবার এই প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ট্রাম্প।

কমলার প্রচারণায় উত্সাহ যোগাতে বিতর্কের পরপরই পপ মেগাস্টার টেলর সুইফট তার ২৮৩ মিলিয়ন ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারকে একটি পোস্টে বলেন, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি কমলা ও তার রানিংমেট টিম ওয়ালজের সঙ্গে আছেন। ২৫ মিনিটের মধ্যে পোস্টটিতে প্রায় ২ মিলিয়ন লাইক পরে।

কমলা ট্রাম্পের সঙ্গে সমানে সমান জবাব দিয়ে তাকে চাপে রাখেন। যার জবাব দিতে গিয়ে ট্রাম্প বেশ কিছু মিথ্যার আশ্রয় নেন।

বিতর্কের একপর্যায়ে ট্রাম্পের সমাবেশগুলোর কথা তুলে ধরে কমলা বলেন, সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষ প্রায়শই 'ক্লান্তি ও একঘেয়েমি'র কারণে তাড়াতাড়ি চলে যান।

কমলার সমাবেশগুলোতে সমর্থকদের ভিড় দেখে বরাবরই হতাশ ট্রাম্প বলেন, 'আমরা সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছি, যা রাজনীতির ইতিহাসে অবিশ্বাস্য।'

তারপর তিনি ভিত্তিহীন দাবি করেন যে ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডে হাইতিয়ান অভিবাসীরা স্থানীয়দের 'পোষা প্রাণী খাচ্ছে'।

কমলা এর জবাবে হাসতে হাসতে বলেন, 'এর থেকে বড় মিথ্যা আর কিছুই হতে পারে না।'

অভিবাসন, পররাষ্ট্রনীতি এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয় নিয়ে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্ক হয়েছে, তবে সেখানে সুনির্দিষ্ট নীতিগত বিবরণ ছিল খুব কম।

এই বিতর্কে কমলা ট্রাম্পকে চাপে রাখতে পেরেছেন, নিজের সমর্থকদের উচ্ছ্বসিত রাখতে পেরেছেন এবং কিছু রিপাবলিকান এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে ট্রাম্পকে এই বিতর্কে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে।

ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কর্মীদের প্রধান মার্ক শর্ট বলেন, 'অর্থনীতি ও সীমান্ত নিয়ে বাইডেন-কমলার বিরুদ্ধে মামলার বিচারের বিষয়ে জোর দেওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরিবর্তে তিনি কমলার ফাঁদে পা দিয়ে অভিবাসীরা আমাদের পোষা প্রাণী খাচ্ছে এমন অবান্তর দাবি করেছেন।'

এই বিতর্কের পর অনলাইনে 'প্রেডিকটইট ২০২৪' এ ট্রাম্পের জয়ের পক্ষে বাজির দর ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হয়েছে। বিপরীতে কমলার জয়ের পক্ষে বাজির দর ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

এই বিতর্কে উজ্জীবিত কমলার প্রচারণা দল ট্রাম্পকে অবিলম্বে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

5h ago