তোমার আম্মু কোথায়? হাসপাতালে!

Sanin
৫ এপ্রিল ২০১৯, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চকবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সহায়তাসহ ১১ দফা দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বাবা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ওরফে সুমনের কোলে ছোট্ট শিশু সানিন। সে এখনো জানে না তার মা কোথায়। ছবি: পলাশ খান

দুর্ঘটনার দেড় মাসের বেশি কেটে গেলেও সেই ছোট্ট শিশু সানিন এখনো জানে না তার মা কোথায়। এমন প্রশ্ন করা হলে সে উত্তর দেয়- "(আম্মু) হাসপাতালে"। মায়ের খোঁজে সে তার বাবা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ওরফে সুমনের হাত ধরে এসেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এখানে কেনো এসেছো জানতে চাইলে সে বলে, "আম্মুকে দেখতাম।"

আজ (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় ১১ দফা দাবিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চকবাজার এলাকাবাসীরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে আয়োজিত সেই মানববন্ধনে যোগ দিয়েছে সেই শিশুটিও। সেসময় কথা হয় তার সঙ্গে। জানায়, সে এখনো তার মাকে খুঁজছে। মায়ের খোঁজেই সে এখানে এসেছে।

সানিনের বাবা সুমন এই সংবাদদাতাকে জানান, চুড়িহাট্টার আগুনে নিহত তার স্ত্রী শীলার (২৫) মরদেহ এখনো পাননি তিনি। তার অভিযোগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ তাকে আজ বা কাল বা দুদিন পরে আসুন বলে ঘোরাচ্ছে।

তার মতে, সেই ঘটনার শিকার তিনটি দেহ এখনো ঢামেক মর্গে রয়েছে। সেখানকার যেকোনো একটি তার স্ত্রীর হতে পারে। তার দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি দেহগুলো চিহ্নিত করা হয় তাহলে তিনি তার স্ত্রীর মরদেহ ফেরত পেতে পারেন।

সেসময় সুমন প্রত্যেক নিহত ব্যক্তির পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করাসহ মানববন্ধনের ১১টি দাবিও তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:

কেমনে দেখিবো মায়ের মুখ!

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka city urban development problems

Dhaka on a perilous path: Lax rules, weak oversight fuel unplanned expansion

Near-unregulated vertical expansion put immense pressure on utilities and infrastructure, worsened traffic congestion, compromised fire safety

15h ago