সুবীর নন্দী ‘বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে’ শিখেছিলেন!

Subir Nandi
সুবীর নন্দী (১৯৫৩ – ২০১৯)

সুবীর নন্দীর দরদী কণ্ঠের গান মুগ্ধ করে রাখে শ্রোতাদের। তিনি সুরের এক অদ্ভুত মায়াজাল ছড়িয়ে আছেন মানুষের মনের গভীরে। আজ সেই শিল্পীর ৬৭তম জন্মদিন।

সুবীর নন্দী ১৯৫৩ সালের ৩০ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব কেটেছে চা বাগানে।

সুবীর নন্দীর কণ্ঠে অমর গানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’ ও ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’।

এ তালিকায় আরও রয়েছে: ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘একটা ছিল সোনার কইন্যা’ এবং ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ গানগুলো।

সুবীর নন্দীর সংগীতে হাতেখড়ি মা পুতুল রানীর কাছে। পরে ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন। সিলেট বেতারে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৬৭ সালে। ১৯৭০ সালে ঢাকা রেডিওতে প্রথম গান করেন ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’ শিরোনামের। গানটির কথা রচনা করেন মোহাম্মদ মুজাক্কের এবং সুরারোপ করেন ওস্তাদ মীর কাসেম।

সুবীর নন্দী চলচ্চিত্রে প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। ১৯৮১ সালে তার একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিং থেকে প্রকাশিত হয়।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালে সুবীর নন্দীকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে। তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে: মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও মহুয়া সুন্দরী (২০১৫)।

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী ২০১৯ সালের ৭ মে মৃত্যুবরণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu AGS candidates: Rights, safety, reforms their top agendas

A total of 25 candidates are contesting for the post of assistant general secretary (AGS) in this year's Dhaka University Central Students' Union (Ducsu) election, scheduled for September 9.

6h ago