নাঈম-শান্তর সেঞ্চুরির পর হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিং, মুশফিকের একার লড়াই

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে নাঈম শেখ শতরানের জুটিতে যে ভালো শুরু এনে দেন, তার ভিত ধরেই বড় পুঁজি গড়েছে আবাহনী লিমিটেড। নাঈমের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। পরে নেমে তাওহিদ হৃদয় তুলেন ঝড়। তার বিস্ফোরক ইনিংসে সাড়ে তিনশোর কাহে চলে যায় আবাহনী লিমিটেড। জবাবে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত সেঞ্চুরি করলেও একদম লড়াই করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। 

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটির পর সোমবার থেকে মাঠে ফিরেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ছুটির পর এসেই ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান জাতীয় দলের তারকারা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৩৪১ রান করে আবাহনী। জবাবে ২৮৩ রানে গুটিয়ে ৫৮ রানে হেরেছে প্রাইম ব্যাংক। টানা ১০ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেল আবাহনী। 

আবাহনীর হয়ে ৮৫ বলে সর্বোচ্চ ১১৮ রান আসে শান্তর ব্যাটে। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ৬৯ রানে বেঁচে যাওয়া নাঈম ১০৪  বলে করেন ১০৫ রান। মাত্র ৩৫ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। প্রাইম ব্যাংকের ২৮৩ রানের মধ্যে ১১১ রান মুশফিকের। ১০৫ বলে ১৪ রানে এক প্রান্তে লড়াই করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।

সকালে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে দিয়ে ভুগতে থাকে প্রাইম ব্যাংক। বিজয়-নাঈমের জুটিতে ১১০ রান আসার পর রান আউটে ফেরেন ৪৫ করা বিজয়।

শুরু থেকে ইতিবাচক খেলতে থাকা নাঈম ৬৯ রানে থামতে পারতেন। কিপিং গ্লাভস খুলে বল করতে আসা মোহাম্মদ মিঠুনের বলে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়েছিলেন। স্টাম্প সোজা বল জোরালো আবেদন করেও রায় পক্ষে পায়নি প্রাইম ব্যাংক। এ সময় আম্পায়ারের সঙ্গে  বিতর্কও করেন তামিম ইকবালরা। জীবন পেয়ে শতক মিস করেননি নাঈম। এবারের লিগে এটি তার প্রথম শতক।  সেঞ্চুরির পর রেজাউর রহমান রাজার বলে ফেরেন তিনি।

শান্ত খেলেছেন নিখুঁত ইনিংস। থিতু হতে কয়েক বল দেখার পর উড়তে থাকেন তিনি। ঝলমলে ব্যাটিংয়ে ১৩ চার, ৪ ছক্কায় ১১৮ করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন তিনি।

হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তার আগে ১২৩ যোগ করে যান আবাহনী অধিনায়ক। শেষ দিকটা স্রেফ হৃদয়ের। ডানহাতি ব্যাটার নেমেছিলেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। খেলেছেনও তেমনই। ১৮৫.১১ স্ট্রাইকরেটে তার ৬৫ রান আবাহনীকে নিয়ে যায় সাড়ে তিনশোর কাছে।

জবাব দিতে নেমে তামিম ইকবাল করেন হতাশ। সাবেক অধিনায়ক ৭ বলে ১ রান করে তাসকিন আহমেদের অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে দেন ক্যাচ। 

জাকির হাসানকেও ফেরান তাসকিন। ছন্দে থাকা তানজিম হাসান সাকিব এসে শাহাদাত হোসেন দিপুকে ফেরালে ব্যাকফুটে চলে যায় প্রাইম। আর কখনই ম্যাচের লাগাম ধরতে পারেনি তারা। 

ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫৬ রান করলেও ছিলেন মন্থর। মোহাম্মদ মিঠুন, অলক কাপালিরা সুবিধা করতে পারেননি। মুশফিক টিকে সেঞ্চুরি করে স্রেফ হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। ম্যাচের শেষ দিকে ক্যাচ নিতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন তাসকিন। তার অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। 

Comments

The Daily Star  | English

Unveil roadmap or it’ll be hard to cooperate

The BNP yesterday expressed disappointment over the absence of a clear roadmap for the upcoming national election, despite the demand for one made during its recent meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus.

7h ago