সহজ রান তাড়ায় হৃদয়ের ব্যাটে উদ্ধার

tawhid ridoy
পরিস্থিতির দাবি মেটান হৃদয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচের মতনই প্রায় পরিস্থিতি। শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেল জিম্বাবুয়ে। পরে জোনাথন ক্যাম্পবেল আর ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটে এলো লড়াইয়ের পুঁজি। সেই পুঁজি নিয়ে এক সময় জেতার মৃদু সম্ভাবনাও জাগাল তারা। তবে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহকে দলকে তীরে ভেড়ালেন তিনি।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার দুই দলের ব্যাটাররাই বড় শট খেলতে ভুগেছেন। জিম্বাবুয়ের ১৩৮ রান টপকাতে গিয়ে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় স্বাগতিক দলকে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জয় এলেও খুব একটা দাপট দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

দলকে জিতিয়ে ২৫ বলে ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। তার সঙ্গে ২৯ বলে ৪৯ রানের জুটিতে মাহমুদউল্লাহ করেন ১৬ বলে ২৬ রান।

এদিন দুই দলের খেলাতেই ছিলো বাজে ক্রিকেটের প্রদর্শনী। বেশ ভালো উইকেটে দুই দলের অধিকাংশ ব্যাটার একটা বড় সময় ছিলেন আড়ষ্ট। বোলারদের আগলা বল দিতে দেখা গেছে অহরহ। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডিংও ছিলো হতশ্রী।

১৩৯ রান তাড়ায় লিটন দাস শুরুটা করেন ভালো। চার-ছয়ে রানে চাকা করেন সচল। মনে হচ্ছি ছন্দহীনতার গা ঝাড়া দিয়ে বেরুবেন। তবে ভালো শুরুর পর হঠাৎ করে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। ৯ বলে ১৭ করার পর মন্থর হয়ে পড়ে তার এগুনো। আরেক পাশে তানজিদ হাসান তামিম শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। তার ভোগান্তি শেষ হয় ১৯ বলে ১৮ রান করে। তাদের খেলার মাঝেই নামে দুই দফা হালকা বৃষ্টি।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এক ছয় মারলেও বাকি পথে ছিলেন না সাবলীল। লুক জঙ্গুইর বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ধরা দেন বাউন্ডারি লাইনে।  লিটনের হন্তারকও এই জঙ্গুই। কয়েক বল ডট হওয়ায় চাপে পড়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার। সেই চাপ থেকে আর বেরুতে পারেননি। জঙ্গুইর স্লো ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে দেন সহজ ক্যাচ।

এরপর বাংলাদেশের ইনিংসে নামে আরেক দফা বৃষ্টি। এবারও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। তবে ম্যাচের দোলাচল বাড়ান জাকের আলি অনিক। মাহমুদউল্লাহর আগে পাঁচে পাঠানো হয় তাকে। ফুলটস বলে এক ছয় মারলেও তিনি ১২ বলে ১৩ করে বোল্ড হন রিচার্ড এনগারাভার বলে।

হৃদয় অবশ্য পথেই রাখেন দলকে। আলগা বল মাঠ ছাড়া করার সঙ্গে টিকে থাকার দায়িত্বও সামলান তিনি। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে মনে হচ্ছিল সংগ্রাম করছেন। একাধিক ফুলটস বল পেয়েও সীমানা ছাড়া করতে পারছিলেন না। তবে তাকে হতাশ হতে হয়নি। বাজে বল ঠিকই পেতে থাকেন, মিসফিল্ডিংও যায় তার পক্ষে। সেসব কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি বের করে খেলা করে দেন সহজ।

এদিনও টস হারা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের গল্পটা স্রেফ দুজনকে ঘিরে। অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল আর ব্রায়ান বেনেট ৪২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন। ৬ষ্ঠ উইকেটে ৪৩ বলে তারা যোগ করেন ৭৩ রান। অধিকাংশ রানই আসে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথনের ব্যাট থেকে।

রায়ান বার্লের মতন পরীক্ষিত ক্রিকেটারের জায়গায় নেমে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন তিনি। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় করেন ৪৫ রান।  ১ রানে অবশ্য সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিপার জাকের আলি অনিক তা মুঠোয় রাখতে পারেননি। জীবন পেয়ে যোগ করেন ৪৪ রান।

বেনেট আগের ম্যাচেও দেখিয়েছিলেন ঝলক। এবার ভিন্ন পজিশনে নেমে কাজটা করেছেন ফিনিশিংয়ের। জোনাথন ফেরার পর তার ব্যাটেই রান বাড়ায় সফরকারীরা। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের শেষ ওভারে আসে ১৮ রান। ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট।  এবারও অন্তত আরও ২০ রান কম করার ঘাটতিতে পুড়ে সফরকারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago