বুধবার বোর্ড সভা ডেকেছেন বিসিবি সভাপতি 

Nazmul Hasan Papon
ছবি: বিসিবি

দেশের ক্ষমতার পালাবদলের পর বদলে যাওয়া সময়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা আহবান করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার সকালে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন এক পরিচালক।

বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ মিঠু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সরাসরি ও ভার্চুয়ালি দুইভাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

পারিবারিক কাজে ব্যাংককে থাকা এই পরিচালক জানান, সকাল ১১টায় এই সভার ব্যাপারে তিনি বার্তা পেয়েছেন। তবে সভার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানাতে পারেননি মিঠু, 'বিসিবি সভাপতি এই সভা আহবান করেছেন। বার্তায় শুধু এই তথ্যই আছে। কি নিয়ে আলোচনা হবে জানি না।'

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালককে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাদের কয়েকজন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে। সভাপতি নিজেও আছেন দেশের বাইরে।

এক সূত্রে জানা গেছে, এই সভাতেই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন পাপন। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে পরিচালক হয়ে সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়ায় এগুবেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও ক্ষমতার পালাবদলের পর বিসিবিতে বদল আসার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী না। দেশের অন্যসব প্রতিষ্ঠানে তারা গুরুত্বপূর্ণ বদল এনে ফেললেও বিসিবি ও বাফুফেতে সরকারী হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। নির্বাচিত বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ করতে গেলেই ফিফা ও আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হতো।

বাফুফের বিষয় নিয়ে না এগুতে পারলেও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবির বদলের ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত দুই পরিচালককে সোমবারই পদত্যাগ করতে বলা হয়। জালাল ইউনুস পদত্যাগ করলেও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম নিজে থেকে সরছেন না, তাকে ক্রীড়া পরিষদ চাইলে সরিয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্রীড়া পরিষদ থেকেই মনোনয়ন নিয়ে ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে বোর্ডে পরিচালক করতে চায় সরকার। ফারুককে সভাপতি হিসেবেও দেখতে চায় তারা।

বর্তমান সভাপতি পদত্যাগ করলে ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে বাকি পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হতে পারেন ফারুক। তবে বর্তমান বোর্ডের বেশিরভাগ পরিচালকই তাদের পদ ছেড়ে দেবেন বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে প্রক্রিয়া মেনে অন্তর্বর্তী বোর্ড তৈরি হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

6h ago