ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের কাছে হারল বাংলাদেশ

দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা সাধ্যের মধ্যেই আটকে দিয়েছিলেন বোলাররা। প্রয়োজন ছিল ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। কিন্তু আরও একবার ব্যর্থ ব্যাটাররা। সোবহানা মোস্তারি উইকেটে সেট হলেও পারেননি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারতেই হলো বাংলাদেশকে।

শনিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৮ রান করে ইংলিশরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৭ রানের বেশি করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। দিলারা আক্তারের (৬) বিদায়ে দলীয় ১৬ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ হতে ফিরে যান আরেক ওপেনার সাথি রানীও (৭)।

দলীয় ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর অধিনায়ক নিগারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সোবহানা মোস্তারি। ৩৫ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু নিগার রানআউট হলে ভাঙে এই জুটি। ২০ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৫ রান করেন অধিনায়ক।

তবে অপর প্রান্ত আগলে রাখেন মোস্তারি। তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। পাননি সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তাও। দ্রুতই ফিরে যান স্বর্ণা আক্তার (২), তাজ নেহার (৭) ও রিতু (২)। এরপর ফিরে যান মোস্তারিও। চার্লি ডিনের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ৪৮ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি।

ইংল্যান্ডের পক্ষে লিনসে স্মিথ ও চার্লি ২টি করে উইকেট পান।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড। শুরুটাও দারুণ করে দলটি। ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন দুই ওপেনার মাইয়া বাউচার ও ড্যানি ওয়াট-হজ। বাউচারকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। ১৮ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করেন বাউচার।

এরপর জ্বলে ওঠেন দলের বাকি বোলাররাও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলে ইংলিশদের রানের গতিতে লাগাম টানতে পারে বাঘিনীরা। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টকে (২) ফেরান ফাহিমা খাতুন। খুব বেশি আগাতে দেননি ইংলিশ অধিনায়ক হিদার নাইটকে। ব্যক্তিগত ৬ রানে তাকে বোল্ড করে দেন রিতু মনি।

তবে অপর প্রান্তে আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার ওয়াট-হজ। তবে ব্যক্তিগত ৪১ রানে তাকে ফেরান নাহিদা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অ্যালিস ক্যাপসি ১৭ বলে খেললেও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন ফাহিমা। আর ড্যানিয়েল গিবসনকে নাহিদা ও চার্লিকে ডিনকে রিতু দ্রুত ফেরালে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাঘিনীরা।

অ্যামি জোন্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে ২ বলে ১টি ছক্কায় ৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন সোফি একলেস্টন।

বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, ফাহিমা ও রিতু।   

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago