সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে সালাউদ্দিনের প্রশ্ন, ‘রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি?’

ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েও পারেননি সাকিব আল হাসান। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় তাকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ৩৭ বছর তারকাকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়। মূলত 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে' তাকে এই পরামর্শ দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। একটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে তাকে। তার আগমনের খবরে গত কয়েক দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। 'মিরপুর ছাত্র জনতা' ব্যানার নিয়ে একদল বিক্ষোভকারী গতকাল বৃহস্পতিবারও শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জড়ো হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ করছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে সাকিবের দেশে ফিরতে না পারার ব্যাপারে নিজের অভিমত জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। সাকিবের 'মেন্টর' হিসেবেও পরিচিত কোচের লেখায় মাশরাফি রয়েছে বিন মর্তুজা আর তামিম ইকবালের নামও। গত অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবের পাশাপাশি মাশরাফির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কয়েকটি।

ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে সালাউদ্দিন লিখেছেন, 'দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।

একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে। আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না। রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি? এদের সাথে মিশেছেন? এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করিয়েছে, সেটা কি জানেন?

তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু। যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করিয়ে দেশের জন্য লড়াই করছে, তা কি দেখছেন? সাকিব আঙুলে চিড় নিয়ে বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য? দেশকে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না। এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারও ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না।

খুব কষ্ট পাচ্ছি, এদের মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না। মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন। আমরা সবাই কম-বেশি অপরাধী। সম্মান কাউকে দিলে আপনি ও সম্মানিত হবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

1h ago