দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
উইকেট নিয়ে তাসকিনের উল্লাস। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বোলারদের জন্য সহায়ক উইকেটে কার্যকর ইনিংসে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তা নিয়ে পরে জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসানদের তোপে পেরে উঠেনি ক্যারিবিয়ানরা।

বুধবার সেন্ট ভিনসেন্টে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭  রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছেন এক ম্যাচ হাতে রেখেই। এদিনও আগে ব্যাটিং পেয়ে শামীমের ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে ১২৯ রান করে লিটন দাসের দল। জবাবে স্বাগতিক দল থেমে যায় ১০২  রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে আটকে দিতে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সফলতম বোলার তাসকিন।

রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দুই ওভারে ১৯ রান আসার পর তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তাসকিন আহমেদ, ৩ বল পর তিনি ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকেও।

বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুইচ হিট করছেন বাঁহাতি শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জোড়া ধাক্কায় তাল হারানো ক্যারিবিয়ানদের টেনে তোলার ভার ছিল জনসন চার্লসের উপর। এই ওপেনার ভালো কিছুর আভাসও দিচ্ছিলেন, তবে শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়ে তিনি ফেরেন ১৪ রান করে। প্রথম ম্যাচের মতন দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার টেনে নিকোলাস পুরান মেহেদীর বলেই স্লিপে দেন সহজ ক্যাচ।

শূন্য রানে জীবন পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল টিকতে পারেননি বেশি। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি হাসান মাহমুদের বলে ফিরে গেলে আশা নিভে যায় স্বাগতিক দলের, খানিক পর রোমারিও শেফার্ডের উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় তারা।

এরপর আকিল হোসেনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি আনেন রোস্টন চেজ, তবে তাতে লেগে যায় ৪৯ বল। ম্যাচের সমীকরণ ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়লে আর কুলিয়ে উঠা হয়নি তাদের। রিশাদ হোসেনের এক ওভারে ৩৩ বলে ৩২ করা চেজের পর পরই খালি হাতে বিদায় নেন গুডাকেশ মোটি। জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে আর সমস্যা হয়নি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিলো না।  ছন্দ পেতে এদিন নিজেকে ওপেনিংয়ে আনেন লিটন। তাও লাভ হয়নি, আকিল হোসেনের টার্ন করা বলে ফ্লাইট মিস করে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ২ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমবার তিনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ তানজিদ হাসান। ৪ বলে ২ রান করে তিনি বোল্ড রোস্টন চেজের।

সৌম্য সরকার উইকেটের আচরণ বুঝে টিকে থেকে রান আনার চিন্তায় ছিলেন। আফিফ হোসেনের বদলে আরেক পাশে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ দুবার জীবন পেলেও রান বাড়াতে পারছিলেন বাকিদের থেকে বেশি। এই দুজনের জুটিতে ৩১ আসার পর রান আউটে বিদায় নেন ১৮ বলে ১১ করা সৌম্য । আলজারি জোসেফের বলে পুল করে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ২৬ করা মিরাজ।

রিশাদ হোসেনকে আগে নামিয়ে লাভ হয়নি, রান পাননি শেখ মেহেদী হাসানও। তবে গোটা সিরিজে ঝলক দেখানো জাকের আলি অনিক এদিনও থিতু হয়েছিলেন। যদিও স্লগ ওভারে দ্রুত রান আনার তাড়া মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২০ বলে ২১ করা ব্যাটার।

এরপর শেষ দিকে দলের রান বাড়ানোর কারিগর শামীম। বাঁহাতি এই ব্যাটার আগের দিনের মতন এদিনও খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি, তবে মিটিয়েছেন দলের চাহিদা।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

1h ago