খুব দ্রুত নয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চিন্তায় থাকি: পারভেজ

Parvez Hossain Emon
পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রোববার বিকেএসপির মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে মাতান পারভেজ হোসেন ইমন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৫ বলেই স্পর্শ করেন ফিফটি, যা স্বীকৃত ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। এই তরুণ বাঁহাতি ওপেনার মেরে খেলার জন্য পরিচিত হলেও জানালেন, তার নিজের সব সময় আগ্রাসী খেলার পরিকল্পনা থাকে না।

প্রিমিয়ার লিগে এবার আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলছেন পারভেজ, শুরুতে কিছু ম্যাচ রান খরায় থাকলেও পরে জ্বলে উঠতে থাকেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে ৭৯ গড় ও ৯৯.৩৭ স্ট্রাইকরেটে ৪৭৪ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন তিনে।

গত ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৮ রানে গুটিয়ে আবাহনীকে মাত্র ৪০ বলের মধ্যে জেতাতে মূল ভূমিকায় ছিলেন পারভেজ। রেকর্ডময় ইনিংসে হয়েছেন খবরের শিরোনাম।

মঙ্গলবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরে এই তরুণ জানালেন, দলের নেট রানরেট বাড়ানোর চিন্তা থেকেই সেদিন মেরে খেলার চিন্তায় নেমেছিলেন, 'কালকের (রোববার) ইনিংসটায় লক্ষ্য কম ছিলো তাই চেষ্টা করেছি যত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। আমরা যেহেতু চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে আছি, আমাদের একটা রানরেটের ব্যাপার আছে। মাথায় ওটাই ছিলো দ্রুত শেষ করা যায়।'

পারভেজ মনে করেন এই ধরণের ইনিংস তার বিশ্বাসের ভিত শক্ত করে। তবে এমন ধরণে খেলবেন সেরকম চিন্তায় ক্রিজে যান না তিনি, বরং পরিস্থিতির দাবি মেটানোর ভাবনা থাকে প্রধান,  'দ্রুত গতির খেলার পরিকল্পনা থাকে না। আমি আসলে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলি। যেদিন যেটা ডিমান্ড করে সেরকম খেলি। রোববার যেমন স্ট্রাইকরেট ছিলো প্রতিদিন এমন থাকে না। আমার ৯০ থাকে, ৯৫ থাকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি।'

পারভেজরা ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়ালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গিয়ে আবার পড়েন ভিন্ন বাস্তবতায়। সেখানে তাদের আগ্রাসী হয়ে রান করা দূরে থাক, ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকাই হয় মুশকিল। তবে বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষেও কীভাবে দাপট দেখানো যায় সেই চিন্তা কাজ করছে তার ভেতর,  'আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্ন, সেখানে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে হয়। ভালো ভালো বোলাররা থাকে। আমরা চেষ্টা করছি ওখানেও কীভাবে দাপট দেখানো যায়। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে ওখানেও কীভাবে ডমিনেট করা যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

23h ago