পাকিস্তানের কাছে বড় হারের পর শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষায় বাংলাদেশ

বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত বাংলাদেশের। কম ব্যবধানে হারলেও থাকা যেত নিরাপদ। তবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারল টাইগ্রেসরা। তাই কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে এখন তাকিয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।

শনিবার লাহোরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে এদিন তারা পুরো ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে করে মাত্র ১৭৮ রানে। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬২ বল আগে ওই রান তাড়া করে ফেলে পাকিস্তান।

টানা তিন জয়ের পর টানা দুই হারে পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ। সমান ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপে উঠে গেছে পাকিস্তান। এক ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য।

এই হারের পরও বাংলাদেশ দলের রান রেট বেশ ইতিবাচক (+০.৬৩৯)। নেতিবাচক রানরেটে (-০.২৮৩) থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ম্যাচে থাইল্যান্ডকে কেবল হারালেই চলবে না, তাদের জয় পেতে হবে বিশাল ব্যবধানে। তাই রানরেটের হিসাবনিকাশ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল ধীরগতির। পাশাপাশি ২১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন শারমিন আক্তার ও রিতু মনি। তারা ৪৪ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। এরপর ২৯তম ওভারে যখন বাংলাদেশের সংগ্রহ একশ স্পর্শ করে, তখন হাতে ছিল ৬ উইকেট।

অর্থাৎ চালিয়ে খেলে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও টিকে ছিল। তবে রিতু ও নাহিদা আক্তারের ৪৪ রানের জুটি ভাঙার পর তা আর থাকেনি। শেষমেশ ফাহিমা খাতুনের কল্যাণে অলআউট না হলেও দুইশ থেকে বেশ দূরে থামতে হয় জ্যোতিদের।

পাঁচে নেমে রিতু সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ৭৬ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে। ফাহিমা সাতে নেমে অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। তিনি ৫৩ বল মোকাবিলায় মারেন চারটি চার। এছাড়া, বিশের ঘরে পৌঁছাতে পারেন কেবল শারমিন। তিনে নেমে ৪৭ বলে চারটি চারসহ ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

উইকেটের দেখা পান পাকিস্তানের পাঁচ বোলারের সবাই। সাদিয়া ইকবাল ১০ ওভারে ২৮ রান খরচায় নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। দুটি করে শিকার ধরেন অধিনায়ক ফাতিমা সানা ও ডায়ানা বেগ। একটি করে উইকেট যায় রামিন শামিম ও নাশরা সান্ধুর ঝুলিতে।

বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই ওপেনার শাওয়াল জুলফিকারকে সাজঘরে পাঠায় বাংলাদেশ। মারুফা আক্তারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। কিন্তু শুরুর উল্লাস মিলিয়ে যায় দ্রুতই। সিদরা আমিনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ ও আলিয়া রিয়াজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে স্বাগতিকদের জয়ের কক্ষপথে নিয়ে যান মুনিবা আলী।

আমিন ৫২ বলে পাঁচটি চারে ৩৭ রান করে শিকার হন নাহিদার। মুনিবা আটটি চারের সাহায্যে ৯৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে থামেন রাবেয়া খানের বলে। নাটালিয়া পারভেজকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন ৬৫ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকা আলিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

9h ago