জোড়া সেঞ্চুরিতে শান্তর যত কীর্তি

ছবি: এএফপি

স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের বল রিভার্স সুইপ করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিঙ্গেল পূর্ণ করার আগে থেকেই তিনি হেলমেট খুলে মাতলেন উদযাপনে। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

শনিবার গল টেস্টের পঞ্চম দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে টাইগাররা। চারে নামা বাঁহাতি শান্ত ১২৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ১৯৯ বল মোকাবিলায় ৯ চার ও ৩ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসেও শতরানের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। ২৭৯ বলে ১৫ চার ও ১ ছয়ে করেছিলেন ১৪৮ রান।

দুই ইনিংসেই রান পেয়ে বেশ কিছু কীর্তি গড়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দুবার এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪৬ ও ১২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে কোনো ম্যাচের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি আছে আর কেবল মুমিনুল হকের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৬ ও ১০৫ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন শান্ত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই ইনিংসেই শতক পাওয়া ১৬তম অধিনায়ক তিনি। তার আগে লঙ্কানদের মাটিতে আর কোনো বিদেশি অধিনায়ক করতে পারেননি জোড়া সেঞ্চুরি।

টেস্টে ১৪তম ব্যাটার হিসেবে একাধিকবার জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন শান্ত। এই সংস্করণে ২৬ বছর বয়সী তারকার শতরানের সংখ্যা বেড়ে হলো সাতটি। তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তিনজনের। তারা হলেন মুমিনুল হক (১৩টি), মুশফিকুর রহিম (১২টি) ও তামিম ইকবাল (১০টি)।

আগের দিন ১০৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন শান্ত। দিনের খেলা শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে। বৃষ্টির বাগড়ার পর এদিনের দ্বিতীয় সেশনে তিনি পৌঁছান তিন অঙ্কে। সেজন্য তাকে খেলতে হয় ১৯০ বল। ব্যক্তিগত মাইলফলক অর্জনের পর চালিয়ে খেলেন তিনি। মুখোমুখি হওয়া পরের ৯ বলে ৩ ছক্কাসহ আনেন ২৫ রান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০ রানের লিড থাকায় শ্রীলঙ্কা জয়ের জন্য পেয়েছে ২৯৬ রানের লক্ষ্য। সেটা করার জন্য ৩৭ ওভার রয়েছে তাদের হাতে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে, ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে গল টেস্ট।

Comments

The Daily Star  | English
honor smartphone inside

How to build a smartphone

Smartphones feel inevitable in the hand, yet each one begins as a set of drawings, components and hypotheses. The journey from concept to finished device is a carefully sequenced collaboration between design labs, supplier networks and high-throughput assembly lines. In leading electronics hubs across Asia, that journey can take as little as days once a design is frozen and parts are on site.

3h ago