কেবল ম্যাচ জিতলেই নিজের অবদান গোনায় ধরেন জাকের

Jaker Ali Anik
ম্যাচ সেরা জাকের আলি অনিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিজে রান পেলেন কিন্তু দল জিতল না, এমন ব্যক্তিগত নৈপুণ্য একদমই গোনায় ধরেন না জাকের আলি অনিক। তার মূল ফোকাসের জায়গা হচ্ছে দলের জয়। মঙ্গলবার অবশ্য তার পারফরম্যান্সের ফল ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ, ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। আর এতেই পরিতৃপ্তির আনন্দ ডানহাতি ব্যাটারের।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে পাকিস্তানকে ৭ রানে হারিয়ে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা জাকের।অথচ তার জন্য কাজটা ছিলো ভীষণ কঠিন। ২৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে গিয়েছিলেন জাকের। তিনি ক্রিজে যাওয়ার পর ২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিক দল। ওই জায়গা থেকে দলকে ১৩৩ রানে নিয়ে যাওয়ার নায়ক তিনি। আউট হন ইনিংসের একদম শেষ বলে।

ম্যাচ শেষে জানালেন, শুরুতে কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় তারা মাঝারি একটা পুঁজির দিকে ছুটেছিলেন, সেটা অনেকটাই পূরণ হয়ে যায়,  'আজকের উইকেটে আমার আমার কাছে মনে হয়েছে ১৫৫-১৬০ হওয়া সম্ভব ছিল যদি আমরা উপযুক্ত ব্যাট করতে পারতাম। কিন্তু আমি ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে অধিনায়ক বলে বলে দিছে যে যেহেতু আমরা দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ফেলেছি, কাজেই ১৪০ রানের জন্য যেতে। আমরা ছয় রান (৭ রান আসলে) শর্ট ছিলাম। শেষ দিকে হয়তো ছয়টা হয়ে গেলে হয়তো কাভার আপ হয়ে যেত।'

১৩৩ রানের পুঁজি নিয়েও এক পর্যায়ে বড় জয়ের দিকেই ছিলো বাংলাদেশ। ১৫ রানে ফেলে দেয় পাকিস্তানের ৫ উইকেট। পরে ফাহিম আশরাফের ঝড়ে ম্যাচে আসে উত্তেজনা, শেষ ওভারে জয় আসে ৮ রানে। 

জাকের জানান শেষ পর্যন্ত দল ম্যাচ জিততে পারাতেই নিজের ইনিংসটাকে গোনায় ধরতে পারছেন তিনি,  'আমি এই ম্যাচ উইনিং নকগুলা কাউন্ট করি এছাড়া আর কোন কিছু কাউন্ট করি না। যদি ভালো খেলি আমি কাউন্ট করি না। যদি আমার দল ম্যাচ না জেতে আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউন্ট করি না,  তবে আজকে অবদান রাখতে পেরেছি, কাউন্ট করব।'

অভিষেকের পর তিন সংস্করণেই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছেন জাকের। বিশেষ করে ছক্কা মারার সহজাত সামর্থ্য তাকে আলাদা করে চেনাচ্ছে। এদিন ১ চার মারলেও জাকের ৫ ছক্কায় ডট বলের চাপ পুষিয়ে দেন।

নিজের অনুশীলন প্রক্রিয়ার উপকারই নাকি এসব বড় শট, 'আমি যেরকম প্রক্রিয়ায় অনুশীলন করি এগুলা তো আপনারা দেখেননি, যেগুলা আর বাড়তি অনুশীলন করি এগুলা বাহিরে করি। কিছু সেটাআপ চেঞ্জ করেছি। দুই বছর আগেই বিপিএলের সময় আমাদের ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কাজ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

1h ago