বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

শেষ দুই ওভারে যে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন মোহাম্মদ নবি, তাতে কাঁপন ধরে গিয়েছিল প্রতিটি বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে। বড় পুঁজিই দাঁড় করিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন কুশল মেন্ডিস। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ই মিলে শ্রীলঙ্কার। তাতে লঙ্কানদের সঙ্গে সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশও।

বৃহস্পতিবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান করে আফগানরা। জবাবে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে চারিথ আসালাঙ্কার দল।

এই জয়ে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। সমান ম্যাচে দুটি জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে টিকিট পেল বাংলাদেশও। অন্যদিকে হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে বিদায় নেয় আফগানিস্তান।

লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্যই শুরু থেকেই সাবলীল ছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও ওপেনিং জুটি ভাঙে দলীয় ২২ রানেই। তবে ছোট ছোট জুটিতেই এগিয়ে যায় দলটি। কুশল পেরেরার সঙ্গে কুশল মেন্ডিসের ৪৫ রানের জুটিতে ভিত পায় দলটি। তবে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

ওপেনিং নেমে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে কুশল মেন্ডিস খেলেছেন হার না মানা ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৫২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। শেষ দিকে ১৩ বলে ২টি ছক্কায় ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন কামিন্দু মেন্ডিস। কুশল পেরেরা করেন ২৮ রান।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নুয়ান থুসারার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ভালো শুরুর পরও চাপে ছিল আফগানরা। ৪ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই স্লিঙ্গার পেসার। যার তিনটিই আসে পাওয়ার প্লেতে। ৬৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।

তবে আফগানদের লড়াইয়ে পুঁজি আসে নবির ব্যাটে। তার আগ্রাসনে শেষ দুই ওভারেই ৪৯ রান তোলে দলটি। শেষ ওভারে আসে ৩২ রান। নবির সামনে সুযোগ ছিল শেষ ওভারে ছয় ছক্কা মারার নজির গড়ার। তরুণ স্পিনার দুনিথ ওয়ালালাগের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলেন নবি। তবে শেষ বলে পারেননি। উল্টো দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান। ২২ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এর আগে দুশমন্থ চামিরার ১৭তম ওভারে নবিকে জীবন দেন এই ওয়ালালাগেই। স্কয়ার লেগে সরাসরি ক্যাচ গিয়েছিল তার হাতে। কিন্তু সেই সুযোগ নিতে পারেননি ওয়ালাগাগে। তখন নবি ব্যাটিং করছিলেন ৫ রানে, ৭ বলে। এরপর ১৫ বলে করেছেন ৫৫ রান। গড়েন নিজ দেশের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি।

নবি ছাড়া কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক রশিদ খান। ২৩ বলে ২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। নবির সঙ্গে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ২৪ ও সেদিকুল্লাহ আতল ১৮ রান করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

1h ago