বিসিবি নির্বাচনে ‘সরকারি হস্তক্ষেপ’, প্রতিবাদে সরে দাঁড়ালেন তামিম

Tamim Iqbal
ছবি: ওয়াহেদ মুরাদ

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। বুধবার তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তামিমের পুরো প্যানেল নির্বাচন বর্জন করছে। 

মঙ্গলবার বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচনে ১৫টি বিতর্কিত ক্লাবের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করে। এ ই ১৫ ক্লাব থেকে প্রায় সব ভোটই তামিম ইকবালের প্যানেলের পাওয়ার কথা। 

পূজার ছুটিতে আদালত বন্ধ থাকায় নির্বাচনের আগে আপিলের সুযোগও না থাকায় এমন সময়ের রিট আবেদনকে অন্য চোখে দেখা হচ্ছিলো। এদিকে গত রাতেই আভাস পাওয়া যায় ঢাকার অন্তত ১০ থেকে ১২টি ক্লাব ভোট বর্জন করতে চলেছে। 

বিসিবি নির্বাচনের শুরু থেকেই সরকারের নানান পর্যায়ের হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাউন্সিলর ঠিক করতেও নানান বিতর্কিত ঘটনা সামনে এসেছে। শেষ মুহূর্তে ঢাকার ক্লাবগুলোর উপরও হস্তক্ষেপ দেখা গেলে নির্বাচনে সরকারঘনিষ্ঠদের জয় অনেকটা অনুমিতও হয়ে যাচ্ছিলো। এই অবস্থায় নির্বাচনে থাকার প্রয়োজন মনে করছেন না তামিম। 

তামিমের প্যানেলের মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীদের একজন এক্মিওম ক্রিকেটার্সের কাউন্সিলর ইসরাফিল খসরু গণমাধ্যমকে জানান তাদের সরে দাঁড়ানোর কারণ, 'বিসিবি নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপ চলছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখানে নেই। স্বেচ্ছাচারিতা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো নির্বাচন আমরা চাই না।'

'সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলব আমরা।'

বুধবার সকালে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় তামিমকে বিসিবি ভবনে দেখা যায়। তার সঙ্গে রফিকুল ইসলাম বাবু, মাসুদুজ্জামান, ইব্রাহিম আহমেদ, মীর হেলাল, সৈয়দ বোরহান হোসেন পাপ্পু ও ইসরাফিল খসরুকেও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল নেতৃত্বাধীন প্যানেলের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই তারা সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

আজ দুপুর ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে। অনুমোদিত প্রার্থীরা একই দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন: 

১. তামিম ইকবাল (ওল্ডডিওএইচএস)
২. রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র)
৩. মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান)
৪. সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স)
৫. মির হেলাল (চট্টগাম জেলা)
৬. সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি)
৭. ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স)
৮. সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ)
৯. তৌহিদ তারেক (পাবনা)
১০. অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর)
১১. সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩)
১২. ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং)
১৩. ফাহিম সিনহা (সুর্যতরিণ)
১৪. সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস)
১৫. ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

5h ago