আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের চাই ১৪৪ রান

১৫তম ওভারে ৯৮ রানে আফগানিস্তানের অষ্টম উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। তবে রশিদ খানদের অলআউট করতে পারল না টাইগাররা। শেষ দুই উইকেট জুটিতে ৪৫ রান যোগ করে পুরো ওভার টিকে গেল আফগানরা। তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করার জন্য জাকের আলির দল পেল ১৪৪ রানের লক্ষ্য।
রোববার শারজাহতে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে তারা। ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে ৪১টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সাতটিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা। এর মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজে তিনবার ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে দলটি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই স্বাদ এখনও অধরা রয়ে গেছে তাদের। ২০২৩ সালে অবশ্য আফগানদের একবার হোয়াইটওয়াশ করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজটি ছিল দুই ম্যাচের।
বাংলাদেশের অধিনায়ক জাকের ব্যবহার করেন ছয় বোলার। এক ওভার হাত ঘোরানো সাইফ হাসান ছাড়া সবাই উইকেটের দেখা পান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রানে শিকার করেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। দুজনই ওভারের কোটা পূর্ণ করে সমান ২৪ রান দেন।
বাকি দুজন একটি করে উইকেট পেলেও ছিলেন খরুচে। শরিফুল ইসলাম চার ওভারে দেন ৩৩ রান। রিশাদ হোসেনের চার ওভারে আসে ৩৯ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আফগানিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। চতুর্থ উইকেটে দরবিশ রসুলি ও সেদিকউল্লাহ আতাল ২৫ বলে ৩৪ এবং নবম উইকেটে রসুলি ও মুজিব উর রহমান ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করেন। আর কোনো জুটি ত্রিশের ঘরে যেতে পারেনি।
ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে যাওয়া রসুলি টেকেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। ২৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। আরও পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কে গেলেও বিশের ঘরে পৌঁছান কেবল দুজন। দশে নামা মুজিব অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৩ রানে। তিনে নামা আতাল করেন ২৩ বলে ২৮ রান।
Comments