রিশাদের ঝড়ে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি

মিরপুরের চিরাচরিত টার্নিং উইকেটে বরাবরের মতো সংগ্রাম করলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সেখানে কিছুটা সফল হলেন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে দলীয় পুঁজি দুইশ পাড় করেন রিশাদ হোসেন। খেলেন দারুণ এক ক্যামিও। তাতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ সিরিজে টিকে থাকতে হলে ২০১৪ রান করতে হবে ক্যারিবিয়ানদের।
স্পিনারদের স্বর্গে এদিন চার জন স্পিনার নিয়েই মাঠে নামে দুই দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন দুই পেস অলরাউন্ডার। কিন্তু সেখানে পার্টটাইম স্পিনার আলিক আথানাজেকে দিয়ে পুরো ১০ ওভার বল করিয়েছেন তারা। পেসারদের এক ওভারও বল করাননি। অবশ্য আলিক ছিলেন দুর্দান্ত। পুরো ১০ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট। দলের সবচেয়ে কৃপণ বোলারই তিনি।
অবশ্য এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান প্রথম ১৪ বলে কোনো রান পাননি। ১৫তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে আউট। মূলত ইনিংস যতো গড়িয়েছে ব্যাটারদের সংগ্রাম ততো বেড়েছে। ১১.৫ ওভারে দলীয় ফিফটি এলেও ২৯.৩ ওভারে আসে দলীয় শতক। যেখানে স্বভাববিরুদ্ধ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার। যার জন্য তাকে বল খেলতে হয়েছে ৮৯টি। এমন ইনিংস তার ক্যারিয়ারেই হয়তো প্রথম।
তবে দলের প্রায় সব ব্যাটারই উইকেটে সেট হয়েছিলেন। যদিও কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। সৌম্যর ইনিংসই সর্বোচ্চ। মিরাজ খেলেছেন অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের পূর্ণতা দিয়েছেন রিশাদ। ১৪ বলে খেলেন হার না মানা ৩৯ রানের ক্যামিও। যেখানে ৩টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
গুডাকেশ মোতি ক্যারিবিয়ানদের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। তবে রান খরচ করতে হয়েছে ৬৫। তিনিই একমাত্র খরুচে বোলার। এছাড়া ২টি উইকেট পান আকিল হোসেন।
Comments