‘যদি একটা বড় পার্টনারশিপ হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো’
ম্যাচ শেষ করার বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ধীর পায়ে সংবাদ সম্মেলনের দিকে এলেন তাওহিদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন, তবে সেটা দলের কোন কাজে লাগেনি। তার বেশিরভাগ এসেছে ম্যাচের ফল অনুমিত হয়ে পড়ার পর। হৃদয়ের রানটা তাই কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বড় রান তাড়ার ধারেকাছে যেতে না পারার জন্য জুটি না হওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন হৃদয়।
লক্ষ্য ১৮২ হলেও ইনিংস বিরতিতে রান তাড়ার আশাই ছিলো বেশি। কারণ উইকেট দেখে মনে হচ্ছিল তা ব্যাট করার জন্য আদর্শ। এমন উইকেটে পাওয়ার প্লেতে ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৭৪ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট। এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে হৃদয় দলের সংগ্রহ ১৪২ রানে নিয়ে যান বটে, তাতে ম্যাচের ফলের কোন প্রভাব ছিলো না।
বাংলাদেশের ইনিংসের কোন পর্যায়েই মনে হয়নি দলটি ম্যাচ জিততে পারে। একটা পর্যায়ে আশা ছেড়ে হারের ব্যবধান কমানোতেই সান্ত্বনা খুঁজেছে তারা। হৃদয় ফিফটি করার পর ডাকআউটে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের হাত উপরে তুলে তালি দিতে দেখা গেছে, ততক্ষণে দল বড় হারের দিকে। হৃদয় ৫০ বলে অপরাজিত ৮২ করেছেন বটে, তবে ম্যাচের পরিস্থিতি বলছে অনুমিত হয়ে পড়া ম্যাচে শেষ দিকের রান কাউকে খুব একটা দোলা দেয়নি, কয়েকটি ক্যাচ পড়ে গেলেও যেমন গায়ে মাখেনি আয়ারল্যান্ড।
হৃদয় অবশ্য মনে করেন পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট পড়ার পরও তারা খেলায় ফিরতে পারতেন যদি কোন জুটি বড় হতো, 'দেখেন, যদি আমাদের একটা বড় পার্টনারশিপ হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো। কারণ আলটিমেটলি আমরা বেশি রানে মানে বেশি ব্যবধানে হারিনি। জাস্ট একটা পার্টনারশিপ হলে (অন্যরকম হতো), এমনকি আমি আর জাকির (আলি) যখন ব্যাট করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা পার্টনারশিপ ৭০-৮০ রানের হতো, তাহলে হয়তোবা অন্যরকম একটা সিনারিও হতে পারতো।'
পঞ্চম উইকেটে জাকেরের সঙ্গে ৩৪ বলে ৪৮ রানের জুটি একটা হয়েছিলো বটে। ৭৪ রানে ৮ উইকেট পোড়ার পর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৩১ বলে আরও ৪৮ যোগ করেন হৃদয়। এসব জুটির পরও আসলে ম্যাচের কোন কন্টেক্সে বাংলাদেশ ছিলো না।
১৮২ রানের লক্ষ্য কোন পরিকল্পনায় খেলছে দল তা বোঝা ছিলো দুস্কর। প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর খোলস বন্দি বেশ কিছু সময়, ডটের পর ডটের চাপে দুই উইকেটের পতন। হৃদয় স্বীকার করলেন উইকেটের নেই কোন দায়। ভালো উইকেটে তাদের শট নির্বাচনও নাকি ঠিকঠাকই ছিলো, কেবল প্রয়োগটা করতে পারেননি তারা, 'অবশ্যই উইকেট অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের কোনো এখানে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের এক্সিকিউশনটা ভালো করতে পারিনি। আর্লি কিছু উইকেট পড়েছে। যেটা বললাম একটু আগে যে যখন আমরা খেলাটা ধরেছিলাম, আমি আর জাকির যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই সময় যদি আরেকটু খেলাটা যতটুকু নিয়ে যাওয়া যেত যায়, তাহলে হয়তোবা…। আমাদের ওটা লাস্ট জুটি (স্বীকৃত ব্যাটার) ছিল। তাহলে রিশাদ, তানজিম এদের জন্য সহজ হয়ে যেত জিনিসটা।'
বড় হারে সিরিজে পিছিয়ে গেলেও হৃদয় অবশ্য জানিয়েছেন তাদের দল ভালো মুডেই আছে। এই জায়গা থেকে একটা ভালো দিনই তাদের সুসময় ফিরিয়ে দেবে।


Comments