মিটল ক্ষোভ, নাটকের পর অনুশীলনে ফিরলেন সুজন-তালহা

অনুশীলনের মাঝপথে সুযোগ-সুবিধার অভাব ও অব্যবস্থাপনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের। তবে দিনের শেষভাগে সেই 'বয়কট' নাটক শেষ হয়েছে। মালিকপক্ষ ও বিসিবির হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটিয়ে আবারও দলের দায়িত্বে ফিরেছেন তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে, যেখানে শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা নোয়াখালীর, সেখানে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত ক্রিকেট বল সরবরাহ করা হয়নি। জানা গেছে, সেশনের জন্য মাত্র তিনটি বল দেওয়া হয়েছিল, যা দেখে হতাশ হয়ে পড়েন কোচরা।

পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় যখন ফ্র্যাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তার সঙ্গে কোচের বাদানুবাদ হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় সুজন সংবাদমাধ্যমকে বলে যান, 'ভালো লাগছে না, বিপিএল আর করব না।'

তবে বিকেলেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর মাঠে ফিরে আসেন সুজন। তিনি বলেন, 'এটি শুধুই একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল, যা রাগের মাথায় ঘটেছে। দলের মালিকরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, বিসিবিও কথা বলেছে। অনুশীলনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না পাওয়ায় আমি হতাশ ছিলাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এমন হলে, ম্যাচ হারলে কী হবে, সেটা ভেবেই খারাপ লাগছিল। তবে মালিকরা সদয় ছিলেন, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।'

মাঠে ফিরে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় এই অভিজ্ঞ কোচকে।

এদিকে এবারের বিপিএলের শুরুটা বেশ বিশৃঙ্খলই মনে হচ্ছে। একই দিনে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা স্বত্ব ত্যাগ করায় দলটির দায়িত্ব নিয়েছে বিসিবি। তার ওপর গত আসরের খেলোয়াড়দের বকেয়া পারিশ্রমিক ইস্যু এবং বর্তমান অব্যবস্থাপনা টুর্নামেন্টের পেশাদারিত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Comments