যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা ন্যায্য হয়েছে: বাংলাদেশের কোচ

Saiful Bari Titu

সাফ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের অতি নাটকীয়তায় ভরা ফাইনাল শেষে আসছে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ কমিশনারের বিস্ময়কর ভুলের পর তা শোধরাতে দুই দলকেই করা হয় যৌথ চ্যাম্পিয়ন। তাতে নাখোশ ভারতের কোচ শুক্লা দত্ত বলেন তাদের ট্রফি ছিনতাই করা হয়েছে। বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেন, যৌথ চ্যাম্পিয়ন করাই ছিলো সবচেয়ে ন্যায্য সমাধান।

ফাইনালে যা হলো কীভাবে বর্ণনা করবেন? ভারতের কোচ বলেছেন ট্রফিটা তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া হলো, কি বলবেন?

সাইফুল বারী টিটু: আমি জানি না কাউকে জোর করে হারানো হয়েছে কিনা। আমরাও একই কথা বলতে পারি। আমরা বাইলজ অনুযায়ী খেলা শুরুর জন্য তৈরি ছিলাম। ঘরোয়া লিগে শেখ রাসেলের হয়ে আমার ১৬-১৭ টা পেনাল্টি শ্যুট আউটের অভিজ্ঞতা আছে। কেউ যদি বলে জোর করে হারানো হয়েছে সেটা বিচক্ষণ কথা না। যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণাটা ন্যায্য হয়েছে যদিও ভারত আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। বাইলজে না থাকলেও যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণাটা ন্যায্য হয়েছে কারণ পুরো আসরে দুই দলই ভালো খেলেছে।

সব তো হলো ম্যাচ কমিশনারের কারণে

সাইফুল: আমরা বাইলজ নিয়ে যেকোনো কিছু বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ রেফারির জানা থাকার কথা টস হবে তখনই যখন পরিস্থিতি একদম প্রতিকূল এবং খেলার কন্ডিশন নেই। ফাইনালের আগে ম্যাচ কমিশনারের হোম ওয়ার্ক করা উচিত ছিলো। তিনি যদি জানতেন তাহলে শ্যুট আউট চলতে থাকত। ভুল হতে পারে কিন্তু সেই ভুলটা হলো ফাইনালের মতন বড় মঞ্চে।

যখন টস হচ্ছিলো আপনাদের অফিসিয়াল বা কোচিং স্টাফ কোন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?

সাইফুল:  ১১টা শটের পর আমি গোলকিপারের সঙ্গে কথা বলছিলাম, টসটা খুব দ্রুত হয়ে গেলো। আমাদের অধিনায়কের এই ব্যাপারে ধারণা নেই। অধিনায়ক ভেবেছিল টস হচ্ছে শ্যুট আউট আবার শুরু হওয়ার জন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো উনার (ম্যাচ কমিশনারের) তো অবশ্যই বাইলজ জানা উচিত। উচিত ছিলো কোচ বা ম্যানেজারকে ডেকে নিজের সিদ্ধান্ত জানানো (টসের আগে)। কিন্তু তিনি না করেননি। ইস্যুটা তখনই খেয়াল হলো যখন ভারতের খেলোয়াড়রা ডাগআউটে উল্লাস শুরু করল।

টস যদি আপনাদের পক্ষে থাকত তাহলে কি ভারতের দল থেকে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখতেন?

সাইফুল:  আমরা যদি টস জিতে উদযাপন শুরু করতাম আমি নিশ্চিত ভারতও বাইলজ খতিয়ে দেখে টস ইস্যু তুলে আনত।

শিরোপা জেতা এবং অন্যদের সঙ্গে ভাগ করা কতটা ভিন্ন অনুভূতি?

সাইফুল:  এককভাবে চ্যাম্পিয়ন হলে আলাদা সম্মান হতো। কিন্তু মেয়েদের জন্য যৌথ চ্যাম্পিয়ন ভালো হয়েছে, যারা ফাইনাল হেরে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলো। খেলোয়াড়দের জন্য স্বীকৃতি বড় ব্যাপার। যখন সেটা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসে। মেয়েরা খুব খুশি হয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে এসেও উদযাপন করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

11m ago