রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল অ্যাতলেতিকো, আলভারেজের জোড়া গোল

স্প্যানিশ লা লিগায় আগের ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে উড়ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তাদের সেই জয়রথের সমাপ্তি টেনে দিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। দাপুটে পারফরম্যান্সে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। জোড়া লক্ষ্যভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ।
শনিবার ঘরের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে অ্যাতলেতিকো। ফলে এবারের ২০২৫-২৬ মৌসুমে প্রথম হারের তেতো স্বাদ মিলেছে রিয়ালের।
প্রথমার্ধের শুরুতে গোল হজম করা জাবি আলোনসোর শিষ্যরা ১১ মিনিটের মধ্যে দুবার জাল কাঁপিয়ে লিড নেয়। কিন্তু অ্যাতলেতিকোর প্রবল চাপের মুখে এলোমেলো হয়ে ভেঙে পড়ে তারা। প্রথমার্ধের শেষদিকে সমতায় ফেরা স্বাগতিকরা তেতে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। রিয়ালকে কোণঠাসা করে তারা আরও তিনবার গোলের উল্লাস করে।
আলভারেজের পাশাপাশি অ্যাতলেতিকোর হয়ে গোলের দেখা পান রবিন লে নরমঁদ, আলেকসান্দার সরলথ ও আঁতোয়ান গ্রিজমান। সফরকারীদের গোলদাতারা হলেন কিলিয়ান এমবাপে ও আরদা গুলার।
লা লিগায় এই নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে রিয়ালের বিপক্ষে অপরাজিত রইল অ্যাতলেতিকো। শুধু তাই নয়, স্প্যানিশ ফুটবলের শীর্ষ স্তরে গত এক দশকের মধ্যে লস ব্লাঙ্কোদের বিপরীতে এটি তাদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের ডেরায় তারা পেয়েছিল ৪-০ গোলের জয়।
সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত অবশ্য শীর্ষেই থাকছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া গতবারের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা দুইয়ে আছে। সাত ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে অ্যাতলেতিকো।
পুরো ম্যাচে বল দখলে সামান্য এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে খুব একটা কার্যকর ছিল না রিয়াল। তাদের ছয়টি শটের মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, অ্যাতলেতিকো ১৩ শট নিয়ে সাতটিই লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়।
১৪তম মিনিটে জুলিয়ানো সিমিওনের ক্রসে লে নরমঁদ হেড করে এগিয়ে দেন অ্যাতলেতিকোকে। ১১ মিনিট পর ডি-বক্সে কোণাকুণি শটে সমতা টানেন এমবাপে। ৩৬তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাটব্যাকে গুলার গোল করলে রিয়াল লিড নেয়। তবে বিরতির আগেই স্কোরলাইন ২-২ করে স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কোকের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সরলথ।
বিরতির পর অ্যাতলেতিকোর ঝড়ের সামনে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি রিয়ালকে। ৫১তম মিনিটে সফল স্পট-কিক থেকে সিমিওনের দল ফের এগিয়ে যায়। এর আগে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ডি-বক্সে নিকোলাস গঞ্জালেজের মুখে গুলার পা দিয়ে আঘাত করায় রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
৬৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের স্বাদ নেন আলভারেজ। বামদিকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে তিনি পরাস্ত করেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন গ্রিজমান।
Comments