লেভানদোভস্কির নৈপুণ্যে রিয়ালের আরও কাছে বার্সা

আন্তর্জাতিক বিরতির আগে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বার্সেলোনা। নিজেদের ছন্দ ফিরে পেয়ে সেল্টা ভিগোর মাঠে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে দলটি। রিয়াল মাদ্রিদের হোঁচটের পর এই জয় ঠিক সেই প্রেরণাই দিয়েছে যা শীর্ষে থাকা দলটির সঙ্গে ব্যবধান কমাতে প্রয়োজন ছিল। অভিজ্ঞ পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবারও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরেছে ব্লাউগ্রানারা।

এদিন হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সা ছিল আক্রমণে ভয়ংকর, নির্ভুল এবং প্রাণবন্ত, যেমনটি গত মৌসুমে গিয়েছিল। তবে রক্ষণভাগে কিছু অস্থিরতা ও মনোযোগের ঘাটতি চোখে পড়েছে। ম্যাচে বার্সা ছিল লড়াকু, প্রাণবন্ত এবং আক্রমণাত্মক। একমাত্র দুঃসংবাদ মাঝমাঠের স্তম্ভ ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে মাঠ ছাড়ার ঘটনা, যা ইনজুরিতে জর্জরিত দলের জন্য বড় ধাক্কা।

এলচে ও ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে আগের একাদশে কিছু পরিবর্তন আনেন ফ্লিক। দ্রুত ট্রানজিশনে ধরা খাওয়া রক্ষণভাগকে নতুনভাবে সাজাতে তিনি রাইট ব্যাকে সুযোগ দেন এরিক গার্সিয়াকে, যিনি মাস্ক পরে ভাঙা নাক নিয়েও দুর্দান্ত খেলেছেন। সামনে ছিলেন অদম্য লেভানদোভস্কি। ম্যাচের ঠিক আগে ইনজুরিতে ছিটকে যান কাসাদো, তাই বিকল্প হিসেবে নামেন ওলমো। পেদ্রির অনুপস্থিতিতে লামিন ইয়ামাল ছিলেন দলের ইঞ্জিন, যিনি পুরো ম্যাচের ছন্দ তৈরি করে গেছেন।

শুরুর ১১ মিনিটেই ম্যাচ যেন ঝড়ের গতিতে এগোয়। ভিএআরের সাহায্যে পাওয়া এক পেনাল্টি থেকে লেভানদোভস্কি গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুযোগ আসে দ্বিতীয় গোলের, কিন্তু রাশফোর্ড তা মিস করেন। উল্টো দিক থেকে পাল্টা আক্রমণে সার্জিও কোরেইরার গোলে সমতায় ফিরে সেল্টা। এরপর সেল্টার ঝড়ো পাল্টা আক্রমণে বেশ বিপাকে পড়ে যায় বার্সা, গোলরক্ষক শেজনি তখন হিমশিম খাচ্ছিলেন।

কিন্তু বার্সা হার মানেনি। তারা সামনে থেকে প্রেসিং শুরু করে, সেল্টার রক্ষণে চাপ বাড়ায়। একাধিক সুযোগ তৈরি হয়। রাশফোর্ডের শট পোস্টে লাগে, তবে বলদে ও ফারমিনদের পজিশন বদলে আক্রমণকে আরও বৈচিত্র্য দেয়। শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পাসে পাসে খেলে তারা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায়। রাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রসে হেডে দ্বিতীয় গোল করেন লেভানদোভস্কি।

তবু একই গল্প, আবারও সমতা ফেরায় সেল্টা, এইবার বোরহা ইগলেসিয়াসের হেডে। শেজনি বলের গতিপথ দেখতে পাননি। কিন্তু এখানেই থামেনি বার্সা।

দুই রূপের দল, রক্ষণে দুর্বল, কিন্তু আক্রমণে অপ্রতিরোধ্য। নিজেদের ভুল বুঝে আরও একবার ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাল্টা আক্রমণে লামিনের শটে আসে তৃতীয় গোল, স্কোরলাইন ৩-২। লামিনের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্স প্রথমার্ধের ফল নির্ধারণ করে দেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে ফ্লিকের নির্দেশ ছিল বল দখলে রেখে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করা। বল যতক্ষণ তাদের পায়ে, ততক্ষণ সেল্টা ছন্দ পায়নি। খেলার গতি কিছুটা কমলেও বার্সা দৃঢ় ছিল। ব্রায়ান সারাগোজা নামলে সামান্য অস্থিরতা তৈরি হয়, তবে সেল্টা তাতে খুব বেশি সুযোগ পায়নি।

ম্যাচের শেষ দিকে আবারও লেভানদোভস্কির ঝলক। রাশফোর্ডের কর্নার থেকে নিখুঁত হেডে সম্পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক, এক দুর্দান্ত স্ট্রাইকারের সিগনেচার মুহূর্ত। শেষদিকে লামিনের শট পোস্টে লাগলেও ফলাফল তখন নির্ধারিত।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

Crowds spilled over into surrounding areas, with large gatherings seen in Farmgate, Karwan Bazar and nearby localities

2h ago