সাফে কঠিন বাস্তবতা টের পেলেন সানজিদারা

সাফ উইমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটি প্রথম দেখেই স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন সানজিদা আক্তার। মনে হয়েছিল, বাংলাদেশ নারী ফুটবল লিগ জয়ের সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই হয়তো ট্রফিটি দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতাহীন দল নিয়ে মাঠে নামার পর খুব দ্রুতই বাস্তবতার কঠিন ধাক্কা খেতে হয় নাসরিন এসসিকে।

নেপালের কাঠমান্ডুতে শনিবার শেষ হওয়া আসরের শিরোপা জিতে নেয় ভারতের ইস্ট বেঙ্গল এফসি। আর বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন নাসরিন এসসি দুটি ড্র ও দুটি হার নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে। জয়হীনই থেকে যায় সানজিদাদের দল।

ফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে নাসরিন এসসির অধিনায়ক সানজিদা আক্তার বলেন, 'প্রথম ট্রফিটা দেখেই মনে হয়েছিল, লিগ জেতা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে এলে আমরা ট্রফিটি দেশে আনতে পারতাম। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমাদের দলে বেশির ভাগই ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়।'

২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার, যিনি বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে, তিনিই ছিলেন নাসরিন এসসির একমাত্র নিয়মিত অভিজ্ঞ মুখ। সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভিন ও কৃষ্ণা রানী সরকার খেলতে অনাগ্রহী থাকেন। আর মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্না চাকমা, রূপনা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, তহুরা খাতুন ও শিউলি আজিমের মতো তারকা, যারা গত মৌসুমে শিরোপা জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির কারণে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকায় নাসরিন এসসির হয়ে খেলতে পারেননি।

অন্য দলের সঙ্গে তুলনা টেনে সানজিদা বলেন, 'খুব খারাপ লেগেছে এটা দেখে যে পাকিস্তানের ক্লাবটি তাদের প্রায় ৯০ শতাংশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে। তাদের অধিনায়কের বয়সই ৩২। ইস্ট বেঙ্গল আবার সাতজন উগান্ডান খেলোয়াড়ের সঙ্গে তিন-চারজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলিয়েছে। ভুটান ও নেপালের ক্লাবগুলোতেও ছিল সিনিয়র আন্তর্জাতিক ফুটবলার।'

চার মাস মাঠের বাইরে থেকে এএফসি 'বি' লাইসেন্স কোচিং কোর্সে ব্যস্ত থাকার কারণে টুর্নামেন্টের আগে সানজিদা নিজেও মাত্র ১০-১২ দিন দলের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পান।

তবে ফলাফল যাই হোক, তরুণদের পারফরম্যান্সে হতাশ নন এই অধিনায়ক, 'ফল ভালো হয়নি ঠিকই, কিন্তু মেয়েরা খারাপ খেলেনি। আমাদের দলে বেশির ভাগই ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলার। অভিজ্ঞ ও মানসম্মত খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলে তারা দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।'

শেষে আক্ষেপের সুরেই নিজের বিশ্বাসের কথা জানান তিনি, 'আমি শতভাগ নিশ্চিত, পাঁচজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলেই যেকোনো ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। আমাদের সেই সুযোগটা থাকলে সাফের ইতিহাসে নাসরিন এসসির নাম লেখা যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

9h ago