অভিষেক ও গিলের তাণ্ডবে পাকিস্তানকে আবার উড়িয়ে দিল ভারত

ফিল্ডিংয়ের সময় দুবার ক্যাচ ফেলে সাহিবজাদা ফরাহানকে জীবন দিলেন অভিষেক শর্মা। ফারহান পরে ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হলেন পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করে। সেই ভুলগুলোর ক্ষতিপূরণ অভিষেক দিলেন সম্ভাব্য সেরা উপায়ে। রান তাড়ায় ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন তিনি। কম গেলেন না শুবমান গিলও। দুই ওপেনারের বিস্ফোরক জুটিতে ভর করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আবার উড়িয়ে দিল ভারত।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। এরপর ভারত ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট খুইয়ে ১৭৪ রান করে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সালমান আগাদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছিল সূর্যকুমার যাদবের দল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ জিতল ভারত। এই সংস্করণে দুই দলের ১৫ বারের সাক্ষাতে ভারতের জয় বেড়ে হলো ১২টি। বাকি মাত্র তিনটি ম্যাচে জিতেছে পাকিস্তান।
ভারতের ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে সুর বেঁধে দেন বাঁহাতি অভিষেক। বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন মাত্র ২৪ বলে। তিনিও দুবার ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। একবার ৯ রানে, আরেকবার ৪০ রানে। ম্যাচসেরা হওয়ার পথে অভিষেক খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ৩৯ বল মোকাবিলায় ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটার। কেবল ২১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ফিফটি, সেঞ্চুরি আছে দুটি।
অভিষেকের সঙ্গে গিলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ বলে ১০৫ রান। এবারের এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে কোনো দলের প্রথম শতরানের রানের জুটি এটি। এর মধ্যে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ওঠে ৬৯ রান। ডানহাতি গিল আউট হন ২৮ বলে ৪৭ রান করে। তার ব্যাট থেকে আসে আটটি চার।
অসাধারণ উদ্বোধনী জুটির পর ভারতের কাজ হয়ে যায় সহজ। অধিনায়ক সূর্যকুমার (৩ বলে শূন্য) ও সঞ্জু স্যামসন (১৭ বলে ১৩ রান) সুবিধা করতে না পারলেও তাই সমস্যা হয়নি। বাঁহাতি পেসার শাহিনকে টানা ছক্কা ও চার মেরে খেলা শেষ করে দেন তিলক বর্মা। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩০ রানে। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ৭ বলে অপরাজিত ৭ রান।
ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়লেও বোলিংয়ে পাকিস্তান কখনোই লড়াই জমাতে পারেনি। তাদের পক্ষে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। একটি করে উইকেটের দেখা পান ফাহিম আশরাফ ও আবরার আহমেদ। শাহিন ৩.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪০ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।
'এ' গ্রুপে এই দুই দলের আগের লড়াইয়ে টসের সময় ও ম্যাচের শেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতের খেলোয়াড়রা। তা নিয়ে পরে হয় তুমুল তর্ক- বিতর্ক। এমনকি পাকিস্তানের এশিয়া কাপ বর্জনের জল্পনা-কল্পনা ওঠে। এদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সালমানদের সঙ্গে করমর্দন করা থেকে বিরত থাকেন সূর্যকুমাররা।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের প্রতিবেদন পড়ুন এখানে:
Comments