আফিফ-উসমানদের ম্লান করে নায়ক রিজওয়ান

Mohammad Rizwan
ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পথে মোহাম্মদ রিজওয়ান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে নেতিয়ে পড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স উসমান খান আর আফিফ হোসেনের ফিফটিতে পেয়েছিল দেড়শো ছাড়ানো পুঁজি। রান তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারালেও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে জেতার রাস্তা করে দিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। আগে ব্যাট করে দুই ফিফটিতে ১৫৬ রান জড়ো করেছিল চট্টগ্রাম। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো কন্ডিশনে  এক ওভার আগেই ওই রান পেরিয়ে যায় কুমিল্লা।

৪৭ বলে ৬১ রান করে দলকে জেতানোর নায়ক পাকিস্তানি রিজওয়ান। ২৭ বলে ৩৭ রান করে ফিনিশিং টানেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই জয়ে ১০ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার দাবি জোরালো করল কুমিল্লা। সমান ম্যাচে আটটি হেরে তলানিতে পড়ে রইল চট্টগ্রাম।

১৫৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে নামা সৈকত আলি। ঠিকমতো উড়ার আগেই অবশ্য ভেঙেছে তার ডানা। ১০ বলে ১৫ রান করে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

অধিনায়ক ইমরুল কায়েস নেমেও আনেন ভালো শুরু। তবে থিতু হওয়ার আগে বিদায় তারও। জিয়াউর রহমানের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন কুমিল্লা কাপ্তান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লস এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। জিয়া তাকেও ফিরিয়ে দিলে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা।

দলের কঠিন পরিস্থিতি সামলে ক্রিজেই ছিলেন রিজওয়ান। স্বভাব অনুযায়ী অনেকটা সময় নিয়ে থিতু হন তিনি। এক পর্যায়ে ৩২ বলে ৩৩ রান ছিল তার। পরে নিহাদুজ্জানকে টানা তিন বলে দুই ছয়, ১ চার মেরে ৩৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। ফিফটির পরও দ্রুত রান বাড়ানোর তালে ছিলেন রিজওয়ান।  মৃত্যুঞ্জয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামে ৫ চার, ২ ছক্কায় সাজানো তার ৬১ রানের ইনিংস।

দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং বেছে শুরুতেই বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। তানভির ইসলামের স্পিনে দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউতে ফেরেন মেহেদী মারুফ। তৃতীয় ওভারে খাওয়াজা নাফেকেও তুলে নেন তিনি।

৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তুলেন আফিফ ও উসমান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৬৪ বলে ৮৮ রান। শুরুতে সময় নিয়ে থিতু হওয়া উসমান মেলেন ডানা। বড় শটে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। আফিফও খেলছিলেন রয়েসয়ে, পরে সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় খেলেছেন।

ফিফটি তুলে  বিপদজনক হতে থাকা উসমান আউট হয়েছেন কিছুটা ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে। ৪১ বল ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় ৫২ রান করে থামেন তিনি। পরে শুভাগত হোমের সঙ্গে আরেক জুটি গড়ে উঠে আফিফের। ক্রিজে এসেই বাউন্ডারি পেয়েছিলেন শুভাগত। শেষের ঝড়ের জন্য তিনি ছিলেন প্রস্তুত। কিন্তু আফিফের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বিদায় তার। ফিফটি তোলা আফিফ আউট হন একদম শেষ ওভারে। ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংসটা থামে হাসান আলির বলে এলবিডব্লিউতে।  শেষ দিক দারবিশ রাসুলির ক্যামিওতে (৯ বলে ২১) দেড়শো ছাড়ানো পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

তবে আদর্শ ব্যাটিং উইকেটে এই পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বের করা সম্ভব ছিল না চট্টগ্রামের।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

People from all walks of life arrive by bus, train and other modes of transport

2h ago