চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ডাকেটের মতো এত রান করে কেউ কি হেরেছেন?

Ben Duckett

বেচারা বেন ডাকেট! ৩৫১ রানের পুঁজি নিয়েও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এতে ডাকেটের দায় অন্তত নেই একটুও। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল যেদিন ৬৮, ১৪৩ বলে তিনি করেছেন ১৬৫ রান। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের হারতে হয়েছে ৫ উইকেটে। প্রশ্ন চলেই আসে- এত রান করেও কি আর কাউকে এভাবে মলিন মুখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে?

এক শব্দে উত্তর- না। ওয়ানডে সংস্করণের আইসিসি ইভেন্টে ১৬০ রানের বেশি করে হেরেছেন, এমন কোন  সঙ্গী পাবেন না ডাকেট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কিংবা ওয়ানডে বিশ্বকাপ হোক- সেসব টুর্নামেন্টে হারা ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে ডাকেটের ব্যাটেই। বাঁহাতি এই ওপেনারের মতো দেড়শর বড় ইনিংস খেলে অবশ্য পরাজিত হতে হয়েছিল কাইল কোয়েটজারকে। স্কটল্যান্ডের এই ব্যাটার ২০১৫ বিশ্বকাপে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যেদিন, সেদিন ৩১৯ রান তাড়ায় সফল হয়ে বাংলাদেশ তাকে হারের বেদনায় পুড়িয়েছিল।

ম্যাচ হেরে গেলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আনন্দ কমে আসে স্বাভাবিকভাবেই। আর ডাকেটের মতো দুর্দান্ত দিন পার করেও যদি হার বরণ করে নিতে হয়, তখন হতাশার মাত্রা হয়তো বেড়েই যায়। শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অজিদের বিপক্ষে ১৫ বল বাকি থাকতে হেরে যায় জস বাটলারের দল। এরপর বিষণ্ণ মুখে স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেটকে ডাকেট বলেছেন, 'অবশ্যই, এই মুহূর্তে হতাশা অনুভব করছি। নিঃসন্দেহে রান করতে পারায় খুশি। কিন্তু ম্যাচ হেরেছি বলে সেটা কখনো জেতা ম্যাচের মতো (আনন্দদায়ক) হবে না।'

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ডাকেটের আগে সবচেয়ে বেশি ১৪৫ রান করে পরাজিত দলে ছিলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। জিম্বাবুয়ের এই কিংবদন্তি ২০০২ সালের আসরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পেয়েছিলেন এমন অনুভূতি।

গতকাল শনিবার লাহোরের ব্যাটিং-স্বর্গে ওপেনিংয়ে নেমে ৪৭.২ ওভার পর্যন্ত খেলেছেন ডাকেট। বাঁহাতি এই ব্যাটার তার ইনিংসে মেরেছেন ১৭টি চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা। আইসিসি ইভেন্টে এটি ছিল তার প্রথম ম্যাচ। বিশেষ দিনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের কীর্তি গড়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ন্যাথান অ্যাস্টলের ১৪৫ রান করে এতদিন যে রেকর্ডের মালিক ছিলেন। দিনটি ডাকেটের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে মনের এক কোণে শেষটা সুন্দরের আফসোস হয়তো তার থেকেই যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

39m ago