সোবহানার ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকের ব্যাটে চড়ে মিলল ভালো শুরু। কিন্তু তার বিদায়ের পর উইকেট পড়তে থাকল নিয়মিত বিরতিতে। বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে একাই দাঁড়িয়ে গেলেন সোবহানা মোস্তারি। তার অপরাজিত ফিফটিতে অলআউট হওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে পুরো ওভার খেলল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইসিসি নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে বিশাখাপত্তনমে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯৮ রান।
৬৭ বলে চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন সোবহানা। চারে নেমে লড়াই চালিয়ে তিনি খেলেন ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৮০ বল মোকাবিলায় মারেন নয়টি চার। ১৬৫ রানে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দশম উইকেটে ফারিহা তৃষ্ণার সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের। তৃষ্ণা অপরাজিত থাকেন ৪ বলে ১ রানে।
নারী ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুঁজি। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত আগের বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে করা ৬ উইকেটে ১৩৫ রান ছিল তাদের আগের সর্বোচ্চ।
ব্যাটিংয়ে নেমে ঝিলিকের কল্যাণে দ্রুত ঘুরতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা। উদ্বোধনী জুটিতে ফারজানা হকের সঙ্গে ৫৪ বলে ৩২ ও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শারমিন আক্তার সুপ্তার সঙ্গে ৫৩ বলে ৪১ রান যোগ করেন তিনি। তাকে থামতে হয় ৫৯ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে। অ্যাশলি গার্ডনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড অনে টালিয়া ম্যাকগ্রার তালুবন্দি হন তিনি।
ঝিলিক আউট হওয়ার পর ভিত নড়ে যায় বাংলাদেশের। সোবহানা ছাড়া কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। দুই অঙ্কের ঘরে আর যেতে পারেন কেবল সুপ্তা (৩৩ বলে ১৯ রান) ও নিগার সুলতানা জ্যোতি (৩৫ বলে ১২ রান)। ছন্দে না থাকা বাংলাদেশের অধিনায়ক আবারও হতাশ করেন ব্যাট হাতে।
আগের ম্যাচগুলোতে লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে রান এলেও এদিন তারা ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান সাজঘরে ফেরেন ক্রিজে থিতু হওয়ার আগে। বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে গার্ডনারের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যালানা কিং ও জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম। একটি শিকার করেন মেগান শাট। উইকেট পাননি কেবল ডার্সি ব্রাউন।
Comments