না জানিয়ে তথ্য সংগ্রহ, অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুককে ১৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

ফেসবুকের লোগো। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
ফেসবুকের লোগো। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস কে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ফেসবুকের মালিকানাধীন ভিপিএন অ্যাপ ওনাভো তাদের বিজ্ঞাপনে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার করলেও, আদতে এটি ব্যবহারকারীদের না জানিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করছিল।

২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ফেসবুক একটি ভিপিএন সেবা পরিচালনা করেছিল, যার নাম ছিল ওনাভো। সে সময় মেটার বদলে ফেসবুক নামেই পরিচিত ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ওনাভো দাবি করে, এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।

তবে প্রকৃতপক্ষে ফেসবুক ওনাভোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অবস্থান, তারা কতবার এবং কত সময় ধরে অন্যান্য স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন এবং কী কী ওয়েবসাইটে যান, সেসব তথ্য সংগ্রহ করছিল। লিখিত রায়ের কপিতে বিচারপতি ওয়েনডি আবরাহাম এসব তথ্য জানান।

১৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত মামলার বাদী অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনকে (এসিসিসি) আইনি খরচ বাবদ আরও ৪ লাখ ডলার দেওয়ার জন্য ফেসবুক ইসরায়েল ও মেটার মালিকানাধীন অ্যাপ ওনাভোকে নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ফেসবুক আরও একবার তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে পড়ে। সেসময় তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ এনালিটিকার নাম সামনে উঠে আসে।

বিচারপতি আবরাহাম আরও বলেন, 'সবাইকে এ বিষয়টি না জানানোর ব্যর্থতার কারণে হাজারো অস্ট্রেলীয় ভোক্তা ওনাভো পণ্যটি ডাউনলোড ও ব্যবহারের আগে তাদের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়ে অবগত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।'

তিনি জানান, আদালত চাইলে মেটার বিরুদ্ধে শত বিলিয়ন ডলারের জরিমানা আরোপ করতে পারতো, কারণ এই অ্যাপটি মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ২২০ বার ডাউনলোড হয়েছে, আর অস্ট্রেলীয় ভোক্তা আইন বলছে, এ ধরনের অপরাধে ১১ লাখ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে প্রতিটি ডাউনলোডকে আলাদা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা না করে একক ভাবে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

উভয় পক্ষ এই জরিমানা মেনে নিয়েছে।

গত বছর মেটার মোট মুনাফা ছিল ১১৬ বিলিয়ন ডলার।

Comments

The Daily Star  | English

The war after the war: Pakistan’s POWs and postal propaganda

Postal evidence supports the view that a propaganda campaign was underway as soon as the army surrendered.

1d ago