অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত রাবি ভিসি, ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা

আজ রোববার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেওয়া রাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বিনোদপুর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) গোলাম সাব্বির সাত্তার।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভিসির বাসভবনে ফিরে যান।

এর আগে দুপুর ১২টার পর তারা অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্ররা আলোচনার জন্য আমাদের বিনোদপুরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা উত্তেজিত থাকায় আমরা সেখানে যেতে চাইনি। পরে তাদের দীর্ঘক্ষণ বোঝোনোর পর, তাদের দাবিদাওয়া পূরণের ব্যাপারে আশ্বাস দিলে তারা আমাদের ছেড়ে দেয়।'

সুলতান-উল-ইসলাম আরও বলেন, 'এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। ছাত্রদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো বহিরাগত যেন ক্যাম্পাসে না আসতে পারে সে জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্ররা শতভাগ আবাসনের যে দাবি তুলেছে তা পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।'

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ভাড়া ও সিটে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বিনোদপুর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের সূচনা হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষের সময় বিনোদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও পুলিশ বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ও অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এদিকে আজ বিকেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাড়া ছাড়াভাবে ক্যাম্পাসের কয়েকটি জায়গায় অবস্থান নিয়ে আছেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একটি দল ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Badruddin Umar: An overlooked yet everlasting beacon of light

The best way to honour Badruddin Umar is to read him, to learn from his words and thoughts

37m ago