হলে আসন সংকট সমাধানে ৭২ ঘণ্টা ধরে অনশনে জাবি শিক্ষার্থী

গত ৩১ মে থেকে অনশন শুরু করেন প্রত্যয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন সংকট সমাধানের দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন এক শিক্ষার্থী।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি অনশন শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

অনশনরত শিক্ষার্থীর নাম সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও আজ শনিবার বিকেলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'হলে অবস্থানরত অছাত্রদের তালিকা না করলে স্যালাইন নেব না। সব দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন ভাঙব না।'

তার দাবিগুলো হলো গণরুম বিলুপ্তি, সাবেক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগ এবং গণরুম-মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন বরাদ্দ দেওয়া।

এর আগেও নিজের সিটের দাবিতে হলের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন প্রত্যয়। তখন তাকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদিকে প্রত্যয়ের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। অনশনের মধ্যেই তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

প্রত্যয় বলেন, 'গত দেড় বছর ধরে প্রশাসনকে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। কোনো ফল না পাওয়ায় অনশন করতে বাধ্য হয়েছি।'

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার সঙ্গে দেখা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন,'আমরা অনেকবার তার সঙ্গে দেখা করতে গেছি৷ তাকে আশ্বস্ত করেছি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু এটা তো একদিনের ব্যাপার না।'

গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম তার সঙ্গে দেখা করেন এবং দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। তবে প্রত্যয় অনশন ভাঙতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে প্রত্যয় বলেন, 'হল প্রভোস্ট আমার কাছ থেকে কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া ১ মাস সময় চান যার মধ্যে তিনি সব সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন। কিন্তু আমি যখন তাকে এই বিষয়ে ওয়ার্ক প্ল্যান জিজ্ঞেস করি তখন তিনি গণরুমের ছাত্রদেরকে অন্য হলে অতি দ্রুত এলোট দেওয়ার কথা বলেন।  আমার বক্তব্য ছিল, যারা জোরজবরদস্তি করে হল দখল করে আছে তাদের আগে বের করতে হবে৷'

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

4h ago