‘গেস্টরুম নির্যাতনের আলোচনা এক্সপাঞ্জ করা দখলদারত্বের প্রতি প্রশাসনিক সমর্থনের প্রমাণ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে 'গেস্টরুম নির্যাতন' শব্দযুগল এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ বলেছে, 'সিনেট অধিবেশনে গেস্টরুম নির্যাতন সংক্রান্ত আলোচনা এক্সপাঞ্জ করার ঘটনা দখলদারত্বের প্রতি প্রশাসনিক সমর্থনের আরেকটি প্রমাণ।'

আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য ও সিনেট সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান 'গেস্টরুম নির্যাতন' শব্দযুগল এক্সপাঞ্জ করেন। সভায় ঢাবির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও বাজেট বিষয়ক আলোচনায় বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফর রহমান তার নির্ধারিত বক্তব্যে আবাসিক হলগুলোতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য ও গেস্টরুম কালচারের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে 'গেস্টরুম নির্যাতন' শব্দযুগল 'অসংসদীয়' আখ্যা দিয়ে তা এক্সপাঞ্জ করান সিনেট সভাপতি অধ্যাপক  আখতারুজ্জামান। এর প্রতিবাদে সিনেট সভা থেকে ওয়াকআউট করেন অধ্যাপক লুৎফর রহমান।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ছাত্র্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, 'ক্যাম্পাসের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দখলদারিত্বই বর্তমান বাস্তবতা। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সিটবাণিজ্য ও গেস্টরুম নির্যাতন ছাত্রলীগের হাতিয়ার। গেস্টরুম নির্যাতনের শিকার হয়ে হল ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে। শারীরিকভাবে আহত করার নজির আছে অসংখ্য। এসকল প্রমাণিত ঘটনা অস্বীকার করা মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাকেই অস্বীকার করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তব পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতে উপাচার্যের এহেন আচরণ সত্য প্রকাশ ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি কর্তৃক গেস্টরুম কালচারবিরোধী আলোচনা এক্সপাঞ্জ করা আসলে রাষ্ট্রের চলমান সত্য সেন্সর করার পাঁয়তারার একটি রূপমাত্র।'

ছাত্রলীগের এই 'গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি' টিকিয়ে রাখার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডির দায়ও কম নয় বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago