তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, ওপেন কালচার চাই না: শাবিপ্রবি উপাচার্য

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য দেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

আমি ওপেন কালচার চাই না, তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত—এমন মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে তথ্য অধিকার বিষয়ক একটি সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এখানে (শাবিপ্রবিতে) ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি, তাই করতে পারত। কেউ কিছু বলতে পারত না। কারণ, তাদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে। তারা (শিক্ষার্থীরা) এটার নাম দিয়েছে তালেবানি কালচার। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।'

উপাচার্য ফরিদ আরও বলেন, 'আপনারা চান কি না, আমি জানি না। আমি চাই না, আমার ছেলেমেয়েরা, সন্তানেরা...ঘুরে বেড়াক। তাদের বাবা-মায়েরা সারা রাত ঘুরে বেড়ানোর জন্য পাঠাননি। বাবা–মায়েরা কিন্তু উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন, টেনশনে থাকেন; আমার মেয়ে কোথায় আছে, ছেলে কোথায় আছে। সে জন্য তাদের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। আমরা তাদের গার্ডিয়ান, আমরা তাদের হেফাজতকারী। আমরা কিন্তু ওই জিনিসটা অ্যালাও করব না, কোনোভাবেই করব না।'

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলমগীর। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আমিনা পারভীন ও ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান।

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে তালেবান শাসকরা নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সেই তালেবানের শিক্ষা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বক্তব্য দিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য।

তার এই বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh garment exports after India transhipment ban

Garment exports find a workaround after India ends transhipment

Dhaka and Sylhet airports improve export services, also offer lower handling costs

14h ago