গণঅভ্যুত্থানে হামলা: ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

১৬ জুলাই এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ | ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে ঢাবি প্রশাসন।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হামলার ঘটনা তদন্তে গঠিত তথ্য অনুসন্ধান কমিটির ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। 

তথ্য অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হামলায় ১২৮ জনের বেশি শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার কথা প্রতিবেদনে এসেছে। সিন্ডিকেট প্রাথমিকভাবে ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তিনি বলেন, 'তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

গত ১৩ মার্চ তথ্য-অনুসন্ধান কমিটি ঢাবি উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর কর। সে সময় কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, হামলায় ১২২ ঢাবি শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, '১২২ জন শিক্ষার্থী সরাসরি লাঠিসোঁটা দিয়ে অন্যদের ওপর হামলা করেছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে হামলাকারীদের মোট সংখ্যা অনেক বেশি। তাই সিন্ডিকেট তাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।'

এ কমিটিতে আরও আছেন কলা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, তথ্য অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সাময়িক বহিষ্কার শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

শিক্ষকদের জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'একটি পৃথক কমিটি হামলায় তাদের ভূমিকা তদন্ত করছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Women in July uprising

The unfinished revolution for women's political rights

Post-uprising women were expected to play central role in policymaking, which did not happen.

8h ago