আগামীতে বর্ষবরণে একাডেমিক ছোঁয়া আনার প্রত্যয় চবি উপাচার্যের

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার। ছবি: সংগৃহীত

'পহেলা বৈশাখে হোক অঙ্গীকার আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অধিকার' প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।

আগামী বছর থেকে বর্ষবরণে একাডেমিক ছোঁয়া আনার উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে জারুলতলা পর্যন্ত 'বৈশাখী শোভাযাত্রার' মধ্য দিয়ে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন শুরু হয়।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করা হয়, যেমন: পুতুল নাচ, বলী খেলা, কাবাডি খেলা, বউচি, নাগরদোলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ দেশীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখার নানা ধরনের পরিবেশনা।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, 'বর্ষবরণ উৎসবে সবাই যেভাবে র‍্যালি, নাচ, গান করে, আমরাও সেটাই করি। আমি পরের বছর থেকে চেষ্টা করব আমাদের বর্ষবরণ উৎসবে একটা একাডেমিক ফ্লেভার যুক্ত করতে। যেহেতু এটা আমাদের একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, এখানে একজন সম্মানিত শিক্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করবেন, এটা যদি আমরা যুক্ত করতে পারি তাহলে একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের যে স্বচ্ছতা সেটা আমরা তুলে ধরতে পারবো।'

'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যদি সেশনজট থাকে, বর্ষবরণ মিছিলে যত জন থাকুক না কেন সেটা বৃথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট রেখে বর্ষবরণ উদযাপন করা সম্পূর্ণ বৃথা। বর্ষবরণে যে গানগুলো চর্চা করা হয়, আমি শুধু একটি গান খুঁজে পেয়েছি সেটি হলো—"এসো হে বৈশাখ এসো এসো"। বাংলাদেশে কি গীতিকারের এতই অভাব যে তারা বর্ষবরণের ওপর ১০-২০ টা গান লিখতে পারেনি? না পারলে আমাকে বলুন, আমি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের হয়ে ২-৪টা গান, প্রবন্ধ লিখে দেবো।'

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, 'আমাদের সন্তানরা কাঁঠাল চেনে, কিন্তু কাঁঠালের গাছ চেনে না। আম খেতে খুবই পছন্দ করে, কিন্তু আমের গাছ চেনে না। সেজন্য পহেলা বৈশাখকে আমাদের ধারণ করতে হবে, এটি আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশকে শাসন করে তাদের সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই সংস্কৃতি দূর করতে হলে আমাদেরকে দেশীয় সংস্কৃতির বীজ বপন করতে হবে, সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে।'

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
gold price rises in Bangladesh

Gold shines through 2025 amid price volatility

If there were a “metal of the year” award, gold would be a strong contender, maintaining an exceptional run even on the final trading day of 2025..Businesspeople said the retail gold market in Bangladesh has remained unstable over the past few months, driven by fluctuating global prices, s

8m ago