আবার আন্দোলনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি শিক্ষক

একাডেমিক কার্যক্রম শুরু, নিরপেক্ষ নতুন তদন্ত কমিটি গঠন ও পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

এদিকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি। এ নিয়ে টানা ৮৬ দিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

গত ৫ মে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ একাধিক দাবিতে সাত কর্মদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। আজ বিকেল ৫টায় সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

শ্রেণিকক্ষে ফেরার প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের দাবি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা জানতে আজ শিক্ষক সমিতির নির্বাহী পরিষদ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।'

তার ভাষ্য, 'আমরা শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কুয়েট প্রশাসনকে সাত কর্মদিবস সময় দিয়েছিলাম। আজ বিকাল ৫টায় সেই সময়সীমা শেষ হবে। আগামী শুক্র ও শনিবার আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। এরপর রোববার শিক্ষক সমিতির সভায় সাধারণ শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।'

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকেই কার্যত অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় কুয়েটে। টানা প্রায় তিন মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীরা শুরুতে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত করে। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। তবে শিক্ষক সমিতির নেতারা ঘোষণা দেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না।

এ ঘটনায় ঘটিত তদন্ত কমিটি ৩৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু পরে সিন্ডিকেট সভায় সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। এরপর চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এরপর ১৩ মে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পূর্ববর্তী তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের লিখিত আবেদন জমা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

4h ago