২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

দেশের ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে সরকার ও ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৩ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। আদালত শিক্ষার্থীদের পক্ষেই কথা বলেছেন। এর ফলে মাইগ্রেশনে তাদের পথ পরিষ্কার হয়েছে।

মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মো. রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভির দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. বোদরুদ্দোজা বাদল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কুষ্টিয়ার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরসহ ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মেধা তালিকা এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বছরের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করেছে।

কিন্তু, গত ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন বিভিন্ন বিষয়ে আসন খালি আছে।

বোদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১০ হাজার যোগ্য শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়বে। তারা উপযুক্ত বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঞ্চিত হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এই আবেদনের শুনানির সময় রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

8h ago