গরমের অস্বস্তি থাকলেও স্কুলগুলোতে উপস্থিতি ‘সন্তোষজনক’

গরম খানিকটা কমে আসলেও অস্বস্তি কাটেনি। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

তাপদাহের মধ্যে গরম খানিকটা কমলেও অস্বস্তি কাটেনি। এর ভেতরেই আজ রোববার থেকে সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। খুলেছে কলেজও।

এর ভেতর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার সন্তোষজনক।

ঈদের ছুটির পর তাপ প্রবাহের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল সরকার।

ছবি: পলাশ খান/স্টার

গত রোববার সারা দেশে স্কুল খুলে দেওয়ার পর গরমের মধ্যে অনেক জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে। বিষয়টি তখন আদালতে গড়ায়।

এই প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

এছাড়া তাপদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে তৈরি হওয়া শিখন ঘাটতি পূরণে এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সেক্ষেত্রে তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

আজ ঢাকার কয়েকটি স্কুল ঘুরে সেখান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাপমাত্রা কিছুটা কমায় স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম জানান, আজ প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করেছে। আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা কম এবং বৃষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছে তাই অভিভাবকদের অনেকে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক মিয়াও জানান, ক্লাসে উপস্থিতির হার বেশ ভালো। তিনি বলেন,  'স্কুলে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যাতে পর্যাপ্ত পানি পান করে আর সরকারি নির্দেশনাগুলো যাতে যথাযথভাবে মানা হয়, সেদিকে নজর রাখতে আমরা শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছি।'

এদিকে দীর্ঘ ছুটির পর সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

মিরপুর আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরুল কবির বলেন, 'দীর্ঘ বিরতির পর আজ স্কুলে যেতে পেরে আমার ছোট্ট মেয়েও খুশি। স্কুল বন্ধ থাকলেও আমরা বাড়িতে তার সিলেবাস কাভার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি বাড়তি ছুটি তার পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।'

যদিও রাজশাহীর মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমির এক শিক্ষার্থীর বাবা মুন্না হোসাইন বলেন, 'বাচ্চারা তাদের রুটিনে ফিরে এসেছে দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু রাজশাহীতে এখনো খুব গরম আছে। আশা করব এই গরমের মধ্যে স্কুলগুলো শিশুদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

55m ago